হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় কিসমিস!
ODD বাংলা ডেস্ক: অনিয়মিত খাবার গ্রহণ ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে মানসিক উদ্বেগ। আমরা অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি। কিসমিসে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে অতিরিক্ত শক্তির জোগান দেয়। রক্ত স্বল্পতার সমস্যা দূর করতেও এর ভেজানো জল খুবই কার্যকর।
নারীরা রক্ত স্বল্পতাজনিত সমস্যায় বেশি ভোগেন। তাই কিসমিসের জুড়ি নাই। কিসমিস আমরা বিভিন্নভাবে খেতে পারি। জলে ভিজিয়ে কিংবা বিভিন্ন রকমের মিষ্টি খাবারের রেসিপিতেই যেন কিসমিস বেশি শোভা পায়। শুধু স্বাদেই অতুলনীয় নয় ছোট এই ড্রাই ফ্রুটে অনেক উপকারিতাও রয়েছে। তাহলে জেনে নিন কিসমিসের উপকারিতা-
১. হার্ট ভালো রাখতে কিসমিস খুবই উপকারী। এছাড়া শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে এটি। কিসমিসে আছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল।
২. মিষ্টি স্বাদের এই ছোট্ট উপাদানটি শরীরে শক্তি যোগায়। কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট।
৩. কিসমিসে প্রচুর মাত্রায় আয়রন থাকে। অনেক নারীদের শরীরে আয়রনের কমতি থাকে। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য কিসমিস ভীষণ উপকারে লাগে। গর্ভাবস্থায় এটি অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখুন।
৪. এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা স্নায়ুর রক্তপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়া পেশি সংকোচনের হার কমিয়ে দেয়।
৫. কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা দাঁত ও হাড় মজবুত করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
৬. যাদের হৃৎপিণ্ডের সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন। কারণ কিসমিস হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৭. কিসমিসে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ। যা তাৎক্ষণিকভাবে দেহে অ্যানার্জি সরবরাহ করে। তাই দুর্বলতার ক্ষেত্রে কিসমিস খুবই উপকারী।
৮. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এড়াতে নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন। এটি রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৯. কিসমিস ভেজানো জল শরীরের জন্য অনেক উপকারী। লিভার ও কিডনির সমস্যাতেও কিসমিস ভীষণ উপকারী।
সতর্কতা: অনেক সময় হালকা রঙের কিসমিসে নানা রাসায়নিক মেশানো থাকে। তাই চেষ্টা করবেন গাঢ় রঙের একটু বেশি শুকনো গোছের কিসমিস কিনতে। তবে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা কার্বোহাইড্রেট ফ্রি ডায়েটে আছেন, তারা কিসমিস ভেজানো জল খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।
Post a Comment