১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু পিতৃপক্ষ, কবে মহালয়া? জেনে নিন
ODD বাংলা ডেস্ক: ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা থেকে পিতৃ পক্ষের সূচনা হয়। সেই অনুযায়ী চলতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে পিতৃপক্ষ শুরু হচ্ছে। শেষ হবে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথিতে। চলতি বছর ২৫ সেপ্টেম্বর আশ্বিন মাসের অমাবস্যা। এই তিথিটি সর্বপিতৃ অমাবস্যা নামেও পরিচিত। এদিনই পিতৃপক্ষের শেষ ও দেবী পক্ষের সূচনা হয়। এই সন্ধিক্ষণটি আবার মহালয়া নামে পরিচিত। অতএব চলতি বছর ২৫ সেপ্টেম্বর সর্বপিতৃ অমাবস্যা বা মহালয়া। এর পর দিনই প্রতিপদা, যা দুর্গা পুজোর সূচনা ঘোষণা করে। পিতৃপক্ষের মাহাত্ম্য ও তর্পণের সম্পূর্ণ তারিখ জেনে নিন এখানে।
পিতৃপক্ষের মাহাত্ম্য
শাস্ত্র মতে পিতৃপক্ষে কোনও ধরনের শুভ কর্ম করা উচিত নয়। মনে করা হয় এ সময় কোনও শুভ বা আনন্দের কাজ করলে পূর্ব পুরুষরা কষ্ট পান। এই সময় বিয়ে, গৃহ প্রবেশ-সহ কোনও শুভ কর্ম বা নতুন কিছু কেনা নিষিদ্ধ। জ্যোতিষ মতে যে জাতকদের কোষ্ঠীতে পিতৃ দোষ রয়েছে, তাঁরা পূর্ব পুরুষদের শান্ত করার উপায় করলে সেই দোষ থেকে মুক্তি পাবেন। পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে পিণ্ডদানের প্রথা প্রচলিত রয়েছে। অনেকে আবার এ সময় কাশি বা গয়া গিয়ে পিণ্ডদান করেন। শুধু তাই নয় পিতৃপক্ষে ব্রাহ্মণ ভোজন করানো হয় ও পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে দান-পুণ্য করা হয়ে থাকে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ না-করলে পূর্বপুরুষদের আত্মা তৃপ্ত হয় না। অন্য দিকে পিতৃ তর্পণে সন্তুষ্ট পূর্বপুরুষরা নিজের পরিজনদের সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনযাপনের আশীর্বাদ দেন।
পিতৃপক্ষের প্রধান তারিখ
১০ সেপ্টেম্বর- পূর্ণিমা শ্রাদ্ধ, ভাদ্রপদ, শুক্ল পূর্ণিমা
১১ সেপ্টেম্বর- প্রতিপদা শ্রাদ্ধ, আশ্বিন, কৃষ্ণ প্রতিপদা
১২ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ দ্বিতীয়া
১৩ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ তৃতীয়া
১৪ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ চতুর্থী
১৫ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ পঞ্চমী
১৬ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ ষষ্ঠী
১৭ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ সপ্তমী
১৮ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ অষ্টমী
১৯ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ নবমী
২০ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ দশমী
২১ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ একাদশী
২২ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ দ্বাদশী
২৩ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ ত্রয়োদশী
২৪ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ চতুর্দশী
২৫ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ অমাবস্যা, সর্বপিতৃ অমাবস্যা, মহালয়া
পিতৃপক্ষে তর্পণের নিয়ম
অনেকে পিতৃপক্ষের সময় প্রতিদিন পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করেন। আবার অনেকে যে তিথিতে নিজের আত্মীয়স্বজনদের হারিয়েছেন, সেই তিথিতে ব্রাহ্মণ ভোজন করিয়ে শ্রাদ্ধ করান। পিতৃপক্ষে কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করে তিল-জল দিয়ে তর্পণ ও পিণ্ডদান করা উচিত। আবার ব্রাহ্মণ ভোজনের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণদের বাড়িতে ডেকে ভোজন করান ও সাধ্যমতো দান করুন। পিতৃপক্ষের দিনে ব্রহ্মচর্য পাল করা উচিত। এ সময় তেল লাগাবেন না ও পেঁয়াজ-রসুন খাবেন না।
Post a Comment