জন্মাষ্টমীতে এই নিয়মে নিজেই করুন গোপালের পুজো, সংসারের ফিরিয়ে আনুন সমৃদ্ধি

 


ODD বাংলা ডেস্ক: শাস্ত্র মতে, জন্মাষ্টমী উত্সব ভদ্রপদ মাসের অষ্টমী তিথিতে নন্দদুলাল শ্রী কৃষ্ণের জন্ম তিথি পালিত হয়। এই উৎসবের অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি। 

 

রাত পোহালেই জন্মাষ্টমী। আর এই তিথি বিশ্বব্যাপী কৃষ্ণপ্রেমীরা উৎযাপন করছেন। এই বছর জন্মাষ্টমী পালিত হবে দুই দিন ব্যাপী। বিশেষ করে বৃন্দাবন-সহ পুরও ব্রজভূমিতে নানা রীতি নীতির মধ্যে দিয়ে প্রতি বছর পালিত হয় এই উৎসব। শাস্ত্র মতে, জন্মাষ্টমী উত্সব ভদ্রপদ মাসের অষ্টমী তিথিতে নন্দদুলাল শ্রী কৃষ্ণের জন্ম তিথি পালিত হয়। এই উৎসবের অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি। 

শাস্ত্রমতে, মনে করা হয় এই তিথিতে বিশেষ কিছু নিয়ম পালন করলে সংসারের সার্বিক সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এই দিনে বিশেষ কিছু নিয়ম পেলে গোপালের পুজো করলে ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি বজায় থাকে। শাস্ত্র অনুযায়ী, হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিশেষত বৈষ্ণবদের কাছে জন্মাষ্টমী একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই উৎসব নানা ভাবে উদযাপন করা হয়। যেমন - ভগবত পুরাণ অনুযায়ী নৃত্য, নাটক যাকে বলা হয় রাসলীলা বা কৃষ্ণ লীলা, মধ্যরাত্রি তে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের মুহূর্তে ধর্মীয় গীত গাওয়া, উপবাস, দহি হান্ডি প্রভৃতি। তাই এই দিনে কিছু নিয়ম মেনে চললে ঈশ্বরের কৃপা দৃষ্টি সর্বদা বজায় থাকবে আপনার উপর। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে সংসারের সমৃদ্ধিও। জেনে নেওয়া যাক আজ ঠিক কোন নিয়মে পুজো সারবেন।


গোপাল পুজো আপনি যেভাবে করেন সেই ভাবেই সারুন সঙ্গে শুধু উল্লিখিত নিয়মগুলো মেনে চলুন। 

আগের দিনেই বাড়ি-ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিন।  রান্না ঘরে মজুত রাখা খাবারের কৌট বা জায়গা কখনও একদম ফাঁকা করে রাখবেন না। এই দিনে সকালে স্নান সেরে নিন। স্নানের জলে একটা বা দুটো তুলসী পাতা দিয়ে স্নান করুন। স্নানের পর ইষ্ট দেবতার স্মরণ করে পুজো সেরে নিন। 

এরপর ঠাকুরের পায়ে ফুল ও তুলসী পাতা দিয়ে প্রণাম সেরে নিন। ফুল মিষ্টি দিয়ে পুজো সেরে নিন। এই দিনে খাদ্য শষ্য দান অত্যন্ত পুণ্যের বলে মনে করা হয়। দুঃস্থকে খাদ্য এবং বস্ত্র বা সামর্থ অনুযায়ী এই দিনে দান করলে সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়। সেই সঙ্গে মনের ইচ্ছাও পূরণ হয়। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.