গালেই টোল পড়ে কেন?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: এটি মূলত একটি জিনগত ত্রুটি। জন্মের সময় শারীরিক গঠনের একদম শুরুর দিকে সাবকিউটেনাস কানেক্টিভ টিস্যুর পরিবর্তন ঘটে।সেই অর্থে এটি রিসেসিভ জিন নয়।এই একটি ত্রুটিপূর্ণ জিনই গালে ‘টোল’ এর জন্য দায়ী।


সাবকিউটেনাস কানেক্টিভ(যোজক) টিস্যু–


-যা হাইপোডার্মিস হিসেবে পরিচিত।এটি ত্বকের সবচেয়ে ভিতরের বা নিচের স্তর।


হাইপো(নিচে) +ডার্ম(ত্বক)→হাইপোডার্মিস


-এই স্তর চর্বি ও যোজক টিস্যু দ্বারা গঠিত।


– বৃহৎ রক্তনালী ও স্নায়ুগুলোকে ধারণ করে।


-অন্তরক হিসেবে কাজ করে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।


রিসেসিভ জিন(বিরল জিন) হল যে জিন প্রভাবশালী জিনের উপস্থিতিতে প্রকাশিত হয়না।


মূলত হাইপোডার্মিসের সাবকিউটেনাস কানেক্টিভ টিস্যুতে জিনগত ত্রুটির ফলে টোলের সৃষ্টি হয়।যখন একজন ব্যক্তি হাসি দেয় তখন একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়।তখন ত্বকের মাংসপেশিতে টান পড়ে।এই মাংসপেশি হলো জাইগোম্যাটিক মেজর।


⭕ কেন টোল পড়ে?


গবেষণায় দেখা গিয়েছে জেনেটিক কারণে হয়।তবে,অনেকে এ মতের বিরোধীতা করেন।


✔️কোন মা-বাবার কারো একজনের টোল থাকলে সন্তানের থাকার সম্ভাবনা প্রায় ২৫-৫০%।এক্ষেত্রে দুজনের একজনের টোল সৃষ্টিকারী জিন সন্তানের মধ্যে থাকলেই চলবে।


✔️মা-বাবা দুজনের-ই থাকলে সন্তানের থাকার সম্ভাবনা ৫০-১০০%


✔️মা-বাবা কারোর-ই না থাকলে সন্তানের থাকার সম্ভাবনা নেই, যদিনা সে কোন জেনেটিক মিউটেশন শিকার হয়।


তাছাড়াও-


-মুখে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়ার কারণেও হতে পারে।


-অনেক শিশুদের ছোটবেলায় চর্বির কারণে টোল দেখা যায়।বয়স বৃদ্ধির সাথে সেই টোল আবার অদৃশ্য হয়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.