এক ফোঁটা মধুতেই ঘায়েল শত্রু! জানুন নেপালের ‘Mad Honey’র রহস্য
ODD বাংলা ডেস্ক: নেপালের গুরুঙ্গ উপজাতির অন্যতম পেশা হল পাহাড়ের খাঁজ থেকে ‘Mad Honey’ সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা এই মধুকে চিকিৎসার কাজে লাগায়। আলসার-সহ বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা, হাইপার টেনসন ও যৌন রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগে এই ‘বিষাক্ত’ মধু। শত্রু বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয়রা এক সময়ে ব্যবহার করতেন এই মধু। কারণ এই মধুর এক ফোঁটা খেলেই এমন নেশা হয়, যা মানুষকে পাগল পর্যন্ত করে দিতে পারে। নেটিজেনরাও হতবাক এমন একটি মধুর কথা জানতে পেরে।
জানা গিয়েছে যে, এই মধু অতিরিক্তি খেলে মারাত্মক ঝিম ধরা ভাব হতে পারে। এছাড়াও বমি, মাথা ধরা, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক হারে রক্তচাপ কমে যাওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি, পারকিনসন-হোয়াইট-সিনড্রোম পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপালের ম্যাড হানির অতিরিক্ত সেবনে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বর্তমানে ম্যাড হানি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মধুগুলির একটি। নেপালে এখনও এই মধু প্রচলিত পাগল করে দেওয়া মধু নামে। মূলত নেশার দ্রব্য হিসাবেই এটি খুবই জনপ্রিয়। এই মধুই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ঝড়ের গতিতে।
ম্যাড হানির রাসায়নিক নাম গ্রায়ানোটক্সিন। সুতরাং নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এর মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে। প্রধানত রডোডেনড্রন ফুলের মধুতে থাকে এই গ্রায়ানোটক্সিন। বেশ কিছু পাহাড়ি ফুলেও থাকে এই বিষাক্ত উপাদান। যাকে বলে গ্রায়ানোটক্সিন পয়জনিং বা রডোডেনড্রন পয়জনিং। জেনে শুনে এই বিষই পান করেন অনেকে। নেশা করার জন্য তা পান করে সবকিছু ভুলে যান। জানা গিয়েছে যে, মানুষের মস্তিষ্ক অচল করে দিতে পারে এই মধু। এই জন্য ম্যাড হানি অতিরিক্ত পান করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
Post a Comment