ছাদও নেই-দেয়ালও নেই, তবুও হোটেল ভাড়া ২৬ হাজার

 




ODD বাংলা ডেস্ক: খুব গরম পড়লে খোলা আকাশের নিচে শোয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। বাড়ির সামনের মাঠে চৌকি পেতে নিশ্চিন্তে ঘুমানোর দৃশ্য আমাদের দেশে নতুন নয়। কিন্তু সুইজারল্যান্ডে ঘুরতে গিয়ে অনেকেই রাত কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে! এমনটা কি ভাবা যায়? 

বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও, এমনইটা-ই কিন্তু ঘটছে সেখানে। আসলে যারা এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন, তারা থাকছেন এক বিশেষ ধরনের হোটেলে। যাকে বলা হয় ‘জিরো স্টার হোটেল’। বলতে গেলে, নামেই হোটেল। রাস্তার ধারে একটি পেট্রোল পাম্পের পাশে পাতা আছে একটা খাট। দুইপাশে দুইটি টেবিল আর সঙ্গে দুইটি ল্যাম্প। ব্যস, এতটুকুই। আর এখানেই থাকার জন্য প্রতি রাতের ভাড়া ২৬ হাজার টাকা।


এই অভিনব ভাবনার কারিগর ফ্রাঙ্ক ও পেট্রিক নামে দুই যমজ ভাই। সারা বিশ্বের হোটেলগুলো যখন অতিথির বিলাসিতার কথা চিন্তা করতে ব্যস্ত, এই দুই ভাই তখন হাঁটতে চাইছেন একেবারে উলটোপথে। প্রথমে সুইজারল্যান্ডের বেশ কিছু পাহাড়ের কোলে এমন ছাদবিহীন ঘরের হোটেল তারা শুরু করেন। তারপর হঠাৎই এমন অদ্ভুত ভাবনা তাদের মাথায় আসে। একেবারে রাস্তার ধারে পেট্রোল পাম্পের পাশে শহরের যাবতীয় কোলাহল সঙ্গে নিয়েই তৈরি করেছেন নতুন আর একটি হোটেল।





তাদের বক্তব্য, এভাবে থাকার দরুন মানুষজন একটু অন্যরকম ভাবে ভাবতে পারবে। তারা মনে করছেন বর্তমান পৃথিবীর যা পরিস্থিতি তাতে ঘুমানোর থেকে বেশি দরকারি পারিপার্শ্বিক বিষয় নিয়ে চিন্তা করা। এখানে যারা রাত কাটাতে আসবেন, তারা যেন সারারাত ধরে জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ পরিস্থিতি কিংবা প্রকৃতির সংরক্ষণের উপায় নিয়ে ভাবেন এমনটাই চান দুই মালিক। এমনকী তারা এও বিশ্বাস করেন, ভবিষ্যতে নাকি বিলাসিতা ছেড়ে মানুষ এরকম হোটেলগুলোতেই রাত কাটাতে আসবেন।


যদিও রুম সার্ভিসের সুবিধা এই হোটেলেও থাকছে। খাটে শুয়ে অর্ডার করলেই চলে আসবে ব্রেকফাস্ট বা পছন্দসই পানীয়।এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বুকিং-ও। আসলে প্রকৃতির সান্নিধ্য পেলেই প্রকৃতি, পরিবেশ আর মানুষের কথা ভাবনার সূত্রগুলো বোধহয় খুলে যায়। মানুষ নিজেকে চিনতে পারে। হোটেল ব্যবসার খাতিরে সেই ভাবনা বা দর্শনের কাছেই মানুষকে পৌঁছে দিতে চাইছেন এই হোটেলের মালিক।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.