রান্নার সময় যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সবাই যে রান্না করতে ভালোবাসেন, তা কিন্তু নয়। অনেকেই আছেন যাদের কাছে রান্না করা ভীষণ কষ্ট আর বিরক্তির একটি কাজ। তবু ঠেকায় পড়ে দায় সামলাতে হয় অনেককে। এখন যেহেতু বাড়িতে গৃহকর্মী নেই, বাধ্য হয়ে অনেককে ঢুকতে হচ্ছে রান্নাঘরে। অনেকের আবার অফিসের কাজের পাশাপাশি সামলাতে হচ্ছে রান্নাবান্নার কাজও। এসব একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে ছ্যাঁকা-পোড়ার মতো ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে হামেশাই। তাই রান্নার সময় খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়-


যেহেতু আপনি কাজটায় ততটা দক্ষ নন, তাই আগে থেকে প্ল্যানিং করে রাখুন পরদিন কী রাঁধবেন। এমন মেনু ঠিক করুন যার উপাদান হাতের কাছেই আছে।


ফ্রোজেন মাছ বা সবজি আগে থেকে বের করে বরফমুক্ত করে নিন, তারপর জল ঝরিয়ে তবেই গরম কড়াইয়ে ছাড়বেন। তা না হলে কিন্তু তা ফাটবে বেশি এবং ছিটকে এসে গায়ে ফোসকাও পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।


তেলের কড়াইয়ে মাছ, মাংস, সবজি যাই ছাড়ুন না কেন, খুব বেশি দূর থেকে ছাড়বেন না। তাতে তেল ছিটকে পড়ে বিপদ বাড়াবে। ফোড়নই বলুন বা রান্নার উপকরণ- ছাড়তে হবে কাছ থেকেই। সম্ভব হলে লম্বা হাতলযুক্ত পাত্রে রান্না করুন, তা আপনার নিরাপত্তা বাড়াবে।


রান্নার সব উপকরণ হাতের কাছে নিয়ে তবেই কাজ শুরু করুন। মাকে হয়তো সবজি কাটতে কাটতেই রান্না করতে দেখেছেন কিন্তু তিনি এক্সপার্ট। আপনি তা নন, তাই অতিরিক্ত রিস্ক নেয়ারও প্রয়োজন নেই। উল্টো কড়াইয়ের তেল বেশি গরম হয়ে গেলে সবজি ছাড়তে গিয়ে হাতে ছিটকে লাগতে পারে।


ভাতের মাড় গালার সময় অন্য কোনোদিকে মন দেবেন না, তা হাতে পড়লে হাত জখম হতে পারে। যদি মনে হয় একেবারেই ম্যানেজ করতে পারছেন না, তা হলে প্রেশার কুকারে সমান মাপের চাল আর জল চড়িয়ে রেঁধে নিন। মাড় গালতে হবে না।


বাসন মাজার সাবান থেকে অ্যালার্জি হতে পারে, তাই খুব কম ক্ষারযুক্ত হালকা ডিশওয়াশার দিয়ে বাসন মাজুন। খুব অসুবিধা হলে সে সময়ে গ্লাভস পরে নিতে পারেন। বাসন মাজার পর হাত আর নখে অবশ্যই ক্রিম বা ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন।


কোনভাবেই স্যানিটাইজার হাতে লাগিয়ে রান্নাঘরে কোনো কাজ করতে ঢুকবেন না। স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল থাকে, তা দাহ্য। আগুনের কাছাকাছি গেলে বিপদের আশঙ্কা থেকেই যায়। গ্যাসটপ, কিচেন টেবিল মোছার সময়েও স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন না। গরম জলে সাবান গুলে কাপড় ডুবিয়ে মুছে নিন, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব থাকবে না।বাড়ির ফ্রিজে যেন ঠান্ডা জল আর বরফ থাকে অবশ্যই। কোথাও জ্বলে-পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জল দিন। পোড়াটা যেন ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে না পারে তা দেখবেন। জ্বালা কমলে বরফ দিয়ে ঘষুন। ফোসকা বড় হয়ে গেলে প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.