রান্না করার সময় ৮টি ভুল এড়িয়ে চলতে হবে, তা অবশ্যই জেনে রাখুন



 ODD বাংলা ডেস্ক: সুস্বাধু রান্না কার না পছন্দ। রান্না মজাদার করতে গিয়ে বাধুনীরা নিজের অজান্তেই এমন কিছু ভুল করে বসেন যা ডেকে আনে বড় ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকি।


মুখোরোচক করতে খাবারে রাধুনিরা যেসব মশলা যোগ করেন তার মধ্যে বেশ কিছুই খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট করে দেয়। এছাড়া আমরা যে সব তেলেভাজা খাবার খাই তেলে ভাজার ফলেই সে সব খাবারের গুণাগুণ বেশিরভাগ সময় নষ্ট হয় যায়। তাই এবার রান্নার ক্ষেত্রে ভুলগুলো দূর করে চলুন জেনে নিই কী ভাবে খাবারের পুষ্টিমূল্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।


অত্যাধিক মশলা ব্যবহার


সালাড বা স্যান্ডউইচে সোয়া সস বা মেয়োনিজের অতিরিক্ত প্রলেপ আমরা সবাই খুব পছন্দ করি। কিন্তু আপনি কী কখনও ভেবে দেখেছেন সেগুলোর ব্যবহার আমাদের খাবার অস্বাস্থ্যকর করে তোলে? অত্যাধিক সোডিয়ামের উপস্থিতির জন্য এই ধরণের খাবারগুলো আমাদের বর্জন করা উচিত।


অত্যাধিক উষ্ণতায় মধু সঞ্চয়


মধুর ঔষধিগুণ প্রবল। চিনির বদলে মধু ব্যবহার করলে তা আমাদের শরীরের উপকার করে। কিন্তু অতিরিক্ত উষ্ণতায় রাখলে মধুর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। আর ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধু রান্না করলে খারাপ রাসায়নিক প্রভাব সৃষ্টি হয়।


স্বাস্থ্যকর তেল বেশি গরম করা


বেশ কিছু ভেজিটেবল তেল নির্দিষ্ট উষ্ণতা ছাড়া রান্না না করাই উচিত। অলিভ তেল বা নারকেল তেল কখনওই অত্যাধিক তাপের সংস্পর্শে আনা উচিত নয়। তাদের নির্দিষ্ট স্মোক পয়েন্টের বেশি উষ্ণতায় রান্না করলে সমস্ত গুণাগুণ নষ্ট হয়ে বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, সূর্যমুখী তেলকে স্যতে, ভাজা ও রোস্ট করা যায়। আর যেকোনো খাবারে ফ্লেভারিং বা ড্রিজলিং-এর জন্য এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল বা ফ্লেক্সসিড অয়েল ব্যবহার করাই বাঞ্ছনীয়।


তেলেভাজা খাবার


তেলেভাজা খেতে যতই ভাল লাগুক সেগুলো আমাদের শরীরের পক্ষে একেবারেই উপযোগী নয়। অত্যাধিক পরিমাণে তেলেভাজা আমাদের ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা ইত্যাদির জন্য দায়ী। আজকাল বিভিন্ন জায়গায় এয়ারফ্রাই খাবার পাওয়া যায়, যার জন্য যৎসামান্য তেলের প্রয়োজন হয়। এয়ারফ্রাই খাবার আমাদের শরীরের ক্ষতি করে না, তাই ভাজাভুজি যাদের পছন্দ নিশ্চিন্তে তেলেভাজার পরিবর্তে এয়ারফ্রাই খাবার বেছে নিতে পারেন।


ভুল প্লেট ব্যবহার


খাবারের পাশাপাশি আমাদের রান্নার বাসনের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। ননস্টিকের পাত্রে টেফলন নামক একধরণের রাসায়নিক থাকে যা আমদের শরীরের ক্ষতি করে। তাই ননস্টিকের পরিবর্তে সাধারণ বাসন ব্যবহার করুন।


কাঁচা নুন খাবেন না


খাবারে কাঁচা নুন ব্যবহার করবেন না। এই অভ্যাসটা আমাদের অনেকেরই থাকে। তবে কাঁচা নুন খেলে আমাদের হার্ট ও কিডনির সমস্যা দেখা দেয়।


অনেকটা সময় সবজি রান্না করা


সবজি অনেকটা সময় ধরে সেদ্ধ করবেন না। এর ফলে সবজির সমস্ত গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।


সবজির খোসা ছাড়াবেন না


আপনি কী জানেন সবজির খোসা ছাড়ানো উচিত নয়? খোসার মধ্যেও অনেক পুষ্টিগুণ থাকে। আলু, গাজর, কুমড়ো, শসা, আপেল ইত্যাদির খোসায় প্রচুর ভিটামিন, খনিজ দ্রব্য ইত্যাদি থাকে। এছাড়াও খোসায় প্রচুর ফাইবার থাকে, যা আমাদের হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.