ভুলেও এঁদের সামনে পা ছড়িয়ে বসবেন না, দূর হবে সুখ-শান্তি
ODD বাংলা ডেস্ক: আমরা সাধারণত যে কোনও দিকে পা রেখে বসে পড়ি বা ঘুমিয়ে পড়ি। তবে জ্যোতিষ বলছে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর দিকে পা করে বসলে অশুভ ফল পাওয়া যেতে পারে। এমনকি এর ফলে দেবী-দেবতারাও রেগে যেতে পারেন। আপনার এমন অভ্যাস জীবনে নানান সমস্যা ডেকে আনতে পারে। কোন বা কার দিকে পা রেখে বসা অশুভ জেনে নিন।
১. ঋষি বা সাধুদের সামনে
জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিদ্বান, গুরু ও সাধুকে ঈশ্বরের সমান মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। তাই এঁদের সামনে কখনও পা ছড়িয়ে বসতে নেই। শাস্ত্র মতে, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে স্বয়ং বিষ্ণু ক্ষুব্ধ হন। তাই কখনও কোনও বিদ্বান, সাধু বা শিক্ষকের সামনে পা রেখে বসবেন বা ঘুমাবেন না।
২. সূর্যের দিকে
জ্যোতিষ মতে সূর্য শুধু মাত্র গ্রহাধিপতি নয়, বরং সমগ্র সৃষ্টির প্রাণশক্তির কেন্দ্র। ধর্ম শাস্ত্রে সূর্যকে বিশেষ স্থান প্রদান করা হয়েছে। কোষ্ঠীতে সূর্যকে তেজ, জ্ঞান, স্বাস্থ্য, মান-সম্মান, শাসন সুখের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করে দেখা হয়। তাই জ্যোতিষ অনুযায়ী জীবনে সাফল্য লাভের জন্য কখনওই সূর্যের দিকে পা ছড়িয়ে বসা উচিত নয়। সূর্য ছাড়াও চন্দ্রের দিকেও পা করে বসবেন না। কারণ এর ফলে শিব রুষ্ট হতে পারেন।
৩. বাড়ির ঠাকুর ঘরের দিকে
জ্যোতিষ শাস্ত্রে বাড়ির ঠাকুর ঘরের দিকে পা ছড়িয়ে ঘুমানোকেও শুভ মনে করা হয় না। দেবী-দেবতাদের সামনে পা করে বসা বা ঘুমানো উভয়কেই অশুভ মনে করা হয়। এর ফলে জীবনের সুখ-শান্তি বিঘ্নিত হয়ে থাকে। তাই আপনিও যদি জ্ঞানত বা অজ্ঞানতাবশত ঠাকুর ঘরের দিকে পা রেখে বসেন, তা হলে সচেতন হন ও এই অভ্যাস ত্যাগ করুন।
৪. গৌমাতার দিকে
হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে গোরুকে মাতার সমান পুজো করা হয়। শাস্ত্র মতে গোরুর মধ্যে ৩৩ কোটি দেবী-দেবতার বাস। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী গোরু কৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয়। তাই শাস্ত্রে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে যে, গোরুর দিকে কখনও পা ছড়িয়ে বসতে নেই।
Post a Comment