মুখে সাদা সাদা গুটি দাগ? এর থেকে মুক্তির উপায় জানুন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: হরমোনের বিভিন্ন সমস্যার জেরে প্রায়ই আমাদের ত্বকে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। প্রায়ই আমাদের বা আমাদের আশেপাশের লোকেদের মুখে সাদা সাদা গুটি দাগ দেখি। অনেক ডাক্তার দেখিয়েও ত্বকের এই সাদা দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। চলতি ভাষায় বলা হয়ে থাকে মিল্ক স্পট। আর ত্বকচিকিৎসার পরিভাষায় মিলিয়া বা মিলিয়াম। নাকের পাটায়, চোখের নিচে, গালে বা মুখের চার পাশে এমন সাদা ছোপ অনেকেরই থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা এক ধরনের ছোট সিস্ট। যা কেরাটিন নামে


প্রশ্ন উঠছে এরকম কেন হয়? আসুন তাহলে জানুন এবং এও দেখে নিন এর থেকে কীভাবে মুক্তি মিলবে।

১. যদি কারও স্বেদগ্রন্থি যথাযথ ভাবে বৃদ্ধি না পায়, সে ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে। এ কারণে ছোটদের ত্বকে মূলত মিল্ক স্পট দেখা যায়।

২. বড়দের ক্ষেত্রে স্টেরয়েডযুক্ত ক্রিমের ব্যবহার, সানবার্ন এ সব কারণে মিল্ক স্পট দেখা যায়।


মুক্তি:

১. লেবুর রস আর চিনি:

লেবুর রসে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ২ টেবিল-চামচ চিনির সঙ্গে অর্ধেক টেবিল-চামচ লেবুর রস আর অল্প একটু তেল মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।


২. প্রাকৃতিক মধু

বাজারে অনেক কৃত্রিম মধু পাওয়া যায়। কিন্তু তাতে কাজ হবে না। প্রাকৃতিক মধু নতুন ত্বক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই মধু ত্বকে লাগালেও মিল্ক স্পটের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।


৩. ক্যাস্টর আর অলিভ অয়েল

এই দুই তেল সমান পরিমাণে এক সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ রেখে ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে মুছে নিতে হবে। নিয়মিত এই পদ্ধতিতে মিল্ক স্পট দূর হয়ে যায়।


৪. মুখে ভাপ নেওয়া

ভাপ নেওয়া আমাদের ত্বকের কোষের মুখগুলো খুলে দেয়। এ ক্ষেত্রে তা মিল্ক স্পটের মুখ খুলে দিয়ে তা ফাটিয়ে দেবে। তাই প্রয়োজন মতো অন্য পদ্ধতি প্রয়োগের সঙ্গে ভাপ নেওয়া যেতে পারে।


৫. টি ট্রি অয়েল

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল- এই দুই দিক থেকেই টি ট্রি অয়েলের খ্যাতি আছে। সারা রাত এটি লাগিয়ে রেখে পরের দিন সকালে মুখ ধুয়ে ফেললেও মিল্ক স্পটের সমস্যা দূর হয়। তবে এই সব কিছুর পরেও যদি মিল্ক স্পটের সমস্যা থেকেই যায়, সে ক্ষেত্রে দেরি না করে কোনও ত্বকচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাই ভালো।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.