শহর হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি জুটলো ‘জিব্রাল্টারের’

 


ODD বাংলা ডেস্ক: জিব্রাল্টার শহরকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র ঐতিহ্যবাহী এই জিব্রাল্টারকে ১৮০ বছর আগে ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের শহর হিসেবে মর্যাদা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর এক ভুলে কেটে গেছে ১৮০ বছর। ভুলটি ছিল প্রশাসনিক। সেই ভুলের সমাধান হওয়ার পর অবশেষে ব্রিটেনের সরকারি শহরের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত পেলো জিব্রাল্টার।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসনে আরোহণের ৭০তম বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে ব্রিটিশ শাসিত এই ভূখণ্ড চলতি বছরের শুরুতে ব্রিটেনের শহরের তালিকাভূক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করে। কিন্তু দেশটির ন্যাশনাল আর্কাইভের গবেষণায় দেখা যায়, জিব্রাল্টারকে ১৮৪২ সালেই ব্রিটেনের শহরের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।


এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘জিব্রাল্টার শহরকে দেওয়া সরকারি স্বীকৃতি দেখতে পাওয়াটা দারুণ আনন্দের। এটি এই শহরের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং গতিশীলতা বিশাল সম্মানের।’


রানির সাম্রাজ্যে এই সরকারি স্বীকৃতি জিব্রাল্টারের বিশেষ মর্যাদা পুনরায় নিশ্চিত করে। এবং সঠিকভাবে জিব্রাল্টারিয়ান সম্প্রদায়ের মর্যাদা এবং স্বতন্ত্র ঐতিহ্যকে মহিমান্বিত করে তুলবে বলেও মনে করছেন বরিস।


১৭১৩ সালে এক যুদ্ধের পর ভূমধ্যসাগরের মুখে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ পাথুরে এই ফাঁড়িটি ব্রিটেনের কাছে হস্তান্তর করে স্পেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই শহরটির মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিল স্পেন। ২০০২ সালে এক গণভোটে জিব্রাল্টারের ৯৯ শতাংশ ভোটার স্পেনের সঙ্গে ব্রিটেনের সার্বভৌমত্ব ভাগাভাগি করার ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন।


২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার গণভোটের পর থেকে জিব্রাল্টারের মর্যাদা এবং কীভাবে স্পেনের সাথে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে সেটি এক বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যাপক আলোচিত সেই ব্রেক্সিট চুক্তি থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল এই উপদ্বীপকে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.