অধ্যাপিকার বিকিনি পরা ছবি দেখল ছাত্র, চাকরি খোয়াতে হল সেই অধ্যাপিকাকে



 ODD বাংলা ডেস্ক: নাম পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছেন অধ্যাপিক। তিনি নিজেও ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনী। তিনি জানিয়েছিলেন তিনি নিজের কতগুলি বিকিনি পরা ছবি দিয়েছিলেন ইনস্টাগ্রামে। সেই ছবি ফার্স্ট ইয়ারের কোনও এক ছাত্র বারবার দেখেছিল।


এক ছাত্র নিজের মোবাইলে অধ্যাপিকার বিকিনি পরা ছবি বারবার দেখেছিল। আর সেই কারণেই নাকি চাকরি খোয়াতে হয়েছিল অধ্যাপিকাকে। তেমনই অভিযোগ উঠেছে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ মানতে নারাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অধ্যাপিকা নিজে থেকেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু অধ্যাপিকার আরও অভিযোগ তাঁকে  ৯৯ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ হিসেবে দিতে চাওয়া হয়েছিল। 


নাম পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছেন অধ্যাপিক। তিনি নিজেও ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনী। তিনি জানিয়েছিলেন তিনি নিজের কতগুলি বিকিনি পরা ছবি দিয়েছিলেন ইনস্টাগ্রামে। সেই ছবি ফার্স্ট ইয়ারের কোনও এক ছাত্র বারবার দেখেছিল। যা তাঁরা বাবা ও মায়ের চোখেও পড়ে যায়। তারপরই ক্রুদ্দ হয়ে অভিভাবকরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ জানায়।  


অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল অধ্যাপিকার এজাতীয় যৌন উত্তেজত ছবি তাঁদের ছেলে বারবার দেখছে। যা তাঁদের কাছে রীতিমত লজ্জাজনক বিষয়। ছবিগুলি রীতিমত আপত্তিকর বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল। অধ্যাপিকার অভিযোগ কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের বাবা ও মায়ের অভিযোগের পরই তাঁকে কর্তৃপক্ষ নোটিশ ধরায়। তাঁকে পদত্যাগ করতে বলে।  সেই চিঠিই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যাতে লেখা রয়েছে যৌন উত্তেজতষ আশালীনের মত শব্দগুলি। 


অধ্যাপিকার অভিযোগ তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল হ্যাক হয়েছিল। কারণ তাঁর প্রোফাইল সর্বদাই প্রাইভেট করে রাখা থাকে। যা শুধুমাত্র তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুরাই অ্যাক্সেস করতে পারে। কিন্তু এই ছাত্র তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় না থাকা সত্ত্বেও কি করে তাঁর প্রোফাইল অ্যাক্সেস করে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপভ কোনও কথাই শোনেনি বলে অভিযোগ। 


২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর অধ্যাপিকা পদত্যাগ করার মাত্র একদিন আগে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। যেখানে তিনি বলেছিলেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল হ্যাক করা হয়েছে। সেখান থেকে তাঁর ছবি ফাঁস হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে এফআইআর দায়ের হয়। 


অধ্যাপিকা আরও জানিয়েছেন তাঁর কোনও রকম অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু তিনি চাইছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল কাজের জন্য তাঁর কাছে ক্ষমা চাক। কারণ এজাতীয় বড় প্রতিষ্ঠানগুলি মাঝে মাঝেই কর্মীদের সঙ্গে এজাতীয় আচরণ করে থাকে। প্রয়োজনে মহিলা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, কতৃপক্ষ তাঁকে যেভাবে বরখাস্ত করেছে যা যৌন হয়রানি ও ইচ্ছেকৃত চরিত্র হনন ছাড়া আর কিছুই নয়। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.