দ্রুত গর্ভধারণ করতে চান? খাদ্যতালিকায় রাখুন এই কয়টি ফল, সহজে মিলবে উপকার

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  গর্ভধারণ নিয়ে বহু মহিলা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কখনও পিলিসিস্টিক ওভারির জন্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে, কখনও বাধা দিচ্ছে থাইরয়েডের সমস্যা, এছাড়া প্রজননতন্ত্রে সমস্যা তো আছেই। হরমোনের ভারসাম্যের অভাবে গর্ভধারণের আগে দেখা দিচ্ছে একাধিক সমস্যা। তবে, জানেন কী কয়েকটি খাবারের গুণে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন এই কয়টি ফল অথবা রাখুন কয়টি বিশেষ উপাদান। যা খেলে দূর হবে প্রজননের সমস্যা। এদিকে নানা কারণে গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। পিসিওডি-র সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। পিসিওডি হলে সন্তান জন্মে সমস্যা দেখা যায়। তেমনই বেশি বয়সে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করলে সন্তান ধারণে দেরি হয়। ডিমিনিশড ওভারিয়ান রিজার্ভ রোগে অনেকে আক্রান্ত হন। এক্ষেত্রে মেয়েদের ডিম ধ্রুত হ্রাস পায়। যে কোনও জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে এই কয়টি খাবার খান।  


খেতে পারেন খেঁজুর। এতে আছে ভিটামিন এ, বি, ই, আয়রন ও অন্যান্য অপরিহার্য খনিজ। এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। যা গর্ভধারণে সাহায্য করে। সঙ্গে গর্ভাবস্থা চলাকালীন সময়ও বাচ্চার জন্য ভালো। মাসিক শেষ হওয়ার পর খেতে খাওয়া শুরু করুন। মিলবে উপকার। চাইলে এর সঙ্গে ধনে পিষে নিন। তা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।   


খেতে পারেন বেদানা। বেদানা প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সঙ্গে তা গর্ভপাতের সম্ভাবনা কমায়। পেলভিক অঞ্চলে রক্তপ্রাবহ বৃদ্ধি করে বেদানা। তাই যারা মা হতে চাইছেন তারা খেতে পারেন বেদানা। এই ফলের রস শরীরের জন্য বেশ উপকারী। শরীর সুস্থ রাখতে ও প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা বিস্তর। 



দারুচিনি মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধ করে। ডিম্বাশয়ের কার্যকারীতা ভালো করে। বন্ধাত্ব্যের সমস্যা দূর করতে এটি বেশ কার্যকারী। এমনকী যারা পিসিওডি-র সমস্যায় ভুগছেন তারা এটি খেতে পারেন। রোজ ১ চা চামচ দারচিনি পাউডার ১ কাপ গরম জলে যোগ করুন। তা পান করে মিলমে উপকার। টানা ৫ মাস ব্যবহারে তফাত বুঝতে পারবেন। 


রসুন খেতে পারেন। রোজ ৪ থেকে ৫ কোয়া রসুন চিবিয়ে খান। তারপর ১ গ্লাস দুধ খেয়ে নিন। এটি মহিলাদের গর্ভধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রসুনে থাকা একাধিক উপদান শরীরের জন্য উপকারী। রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন রসুন। রসুনের গুণে শরীরের একাধিক ঘাটতি পূরণ হবে। তেমনই বৃদ্ধি পাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। 


জায়ফল মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ উপকারী। এক কাপ দুধে মেশান ১ চা চামচ জায়ফল পাউডার ও সম পরিমাণ চিনি। ভালো করে মিশিয়ে পান করুন। মাসিক চলাকালীন ১ কাপ করে এই বিশেষ উপাদান মিশ্রিত দুধ খান। মিলবে উপকার। জায়ফলে থাকা একাধিক উপাদান বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। 



গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে চাইলে খেতে পারেন সৈন্ধলবণ। এটি মহিলাদের  জন্য বেশ উপকারী। ১ চামচ সৈন্ধলবণ ১ কাপ জল ভিজিয়ে রাখুন। এটি ভোরের বেলা পান করুন। মিলবে উপকার। টানা কয়মাস মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা সহজে মুক্তি পাবেন সমস্যা থেকে। এই টোটকা বেশ উপকারী। সৈন্ধলবণে থাকা একাধিক উপাদান শরীরের জন্য উপকারী। 


পুদিনার গুণে বাড়তে পারে গর্ভধারণের সম্ভাবনা। পুদিন পাতায় থাকা একাধিক উপাদান শরীর সুস্থ রাখে। এটি গর্ভধারণের বাধা দূর করে। রোজ পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা ১ গ্লাস দুধে পুদিনা পাতা বাটা মেশান। ভালো করে মিশিয়ে পান করলে মিলবে উপকার। 


খেতে পারেন বেরি। হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যার কারণে গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর হতে পারে বেরি। তেমনই পিসিওডি কিংবা পিসিওএস-র মতো সমস্যার কারণে অনেকের গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দেয়। এর থেকে মুক্তি পেতেও খেতে পারেন বেরি। এতেও মিলবে উপকার। নিয়ম করে বেরি খান। 



ভিটামিন ডি এর অভাবে গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দেয়। রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার। এতে যেমন বৃদ্ধি পাবে গর্ভধারণের ক্ষমতা তেমনই গর্ভপাতের সমস্যা দেখা দেবে না। রোজ খেতে পারেন ডিমের কুসুম। কিংবা চিজ। মিলবে উপকার। খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবার তেমনই ভোরের সূর্যরশ্মি পোহাতে পারেন। মিলবে একই উপকার। 


মৌরির গুণে বৃদ্ধি পায় গর্ভধারণের ক্ষমতা। মৌরির সঙ্গে মাধন মিশিয়ে খান। এতে গর্ভধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তিন থেকে চার মাস মেনে চলুন এই বিশেষ নিয়ম। এতে মিলবে উপকার। শরীর সুস্থ রাখতে ও গর্ভধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.