অতিথি আপ্যায়নে থাক রকমারী স্ন্যাক্স , রইল স্বাধীনতা দিবস স্পেশ্যাল মেনুর হদিশ
ODD বাংলা ডেস্ক: ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারতে ব্রিটিশদের শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছিল ভারত। বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মবলিদানে স্বাধীন হয়েছিল ভারত। প্রতি বছর দেশের সর্বত্র এই দিনটি পালিত হয় বিশেষ ভাবে। ফ্ল্যাগ উত্তোলন তো আছেই এর সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মিষ্টি বিতরণের মধ্যে দিয়ে দিনটি পালন করা হয়। জাতি-ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভারতীয়ের কাছে আজকের দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি আমাদের মুক্তি যোদ্ধাদের, দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামগ্রিকভাবে জাতির অর্জনকে সম্মান জানাতে পালিত হয়। ভারতের স্বাধীনতা দিবস সারা দেশে একটি জাতীয় ছুটি হিসেবে পালন করা হয়। সে কারণে এই দিন চারিদিকে থাকে খুশির আমেজ। অনেকের বাড়িতে হয় অতিথি সমাগম। আজ অতিথি আপ্যায়নে থাক রকমারী স্ক্যাক্স, রইল স্বাধীনতা দিবস স্পেশ্যাল মেনুর হদিশ।
বানাতে পারেন দই কাবাব। এঠি খেতে খুবই মুখরোচক হয়। মাত্র মিনিট পনেরো সময় ব্যায়ে বানাতে পারেন এই পদ। চিকেন, পনির, মটন দিয়ে দই কাবাব তৈরি করতে তো পারেনই। তাছাড়া বানাতে পারেন সয়া দই কাবাব। দই, বেসন, পেঁয়াজ, লঙ্কা, ধনেপাতা আর চিংকেন কিংবা মটন দিয়ে তৈরি করা সম্ভব এই পদ।
বানাতে পারেন আচারি পনির টিক্কা। পনির সকলের পছন্দের পদ। এই পনির দিয়ে তৈরি টিক্কাতে জমে উঠবে সন্ধ্যা। আজ যদি বিকেলে বাড়িতে বন্ধ সমাগম ঘটে তবে এটি বানাতে পারে। তেমনই স্বাধীনতা দিবসে অফিস-স্কুল ছুটি থাকায় সকলে দিনটি অন্য ভাবে পালন করতে চাইলে স্ন্যাক্সে বানাতে পারেন আচারি পনির টিক্কা।
বানাতে পারেন তেরঙা ধোকলা। স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী ধোকলা। গুজরাতের খাবার হলেও এটি বর্তমানে সারা দেশেই জনপ্রিয়। আজ বানিয়ে ফেলুন তেরঙা ধোকলা। শুধু সাদা, গেরুয়া ও সবুজ ফুড কালার ব্যবহার করলেই হল। স্বাধীনতা দিবস একেবারে অন্যভাবে পালন করতে চাইলে খাবারেও রাখুন স্বাধীনতার ছোঁয়া। এই পদ মন কাড়বে সকলের।
বানাতে পারেন তাওয়া ব্রেড রোড। আজ সন্ধ্যাটা একেবারে অন্য ভাবে কাটাতে চাইলে বানিয়ে ফেলুন এই পদ। প্রথমে আলু চটকে নিন। এতে দিন ব্রেড রোল বানানোর উপযোগী মশলা। অন্য দিকে, কয়টি পাউরুটির টুকরো দুধে ভিজিয়ে রাখুন। সেই পাউরুটি মেশান আলুর মিশ্রণের সঙ্গে। চপের আকারে গড়ে নিন। তারপর ভেজে নিলেই তৈরি তাওয়া ব্রেড রোড।
বানাতে পারেন ফিস পপকর্ন। বাড়িতে সারাক্ষণই মাছ মজুত থাকে। এবার তা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ফিস পপকর্ন। সন্ধ্যার জনখাবারে উপযুক্ত আইটেম হল এটি। ময়দা, গোলমরিচ, লঙ্গা গুঁড়ো দিয়ে ব্যাটার বানিয়ে নিন। এবার তাতে ডোবান মাছের টুকরো। অন্য দিকে, একটি পাত্রে কর্ণফ্লেক্স আর একটি পাত্রে ডিম ফেটিয়ে রাখুন। মাছের টুকরো ময়দার মিশ্রণে ডোবানোর পর তা ডিমের মিশ্রণ ও কর্ণফ্লেক্সের মিশ্রণে ডুবিয়ে নিয়ে ভেজে নিন। তৈরি ফিস পপকর্ন।
বানাতে পারেন চিকেন রাভা ফ্রাই। মুরগির মাংস দিয়ে এই পদ বাঁধা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন দই ও অন্যান্য মশলা। প্রথমে দইয়ে ও মশলা দিয়ে তৈরি মিশ্রণে চিকেন ডিবিয়ে নিয়ে তা ম্যারিনেট হতে দিন। তারপর ভেজে নিলেই তৈরি চিকেন রাভা ফ্রাই। আজ চায়ের আড্ডা জমে যাবে এই পদে। তাই দেরি না করে বানিয়ে ফেলুন চিকেন রাভা ফ্রাই।
বানাতে পারেন তেরঙা উত্তাপম। সুমিষ্ট স্বাদের উত্তাপমে তিন রঙের ছোঁয়া। চাল, অরহ ডাল, মেথি বীজ দিয়ে মূলত তৈরি হয় উত্তাপম। এবার তাতে সাদা, গেরুয়া ও সবুজ ফুড কালার ব্যবহার করলেই হল। স্বাধীনতা দিবস একেবারে অন্যভাবে পালন করতে চাইলে খাবারেও রাখুন স্বাধীনতার ছোঁয়া। এই পদ মন কাড়বে সকলের।
কিংবা কামড় বসান পাওভাজিতে। বাড়িতে সব সময়ই মজুত থাকে পাউরুটি। আলু, ক্যাপসিকাম, মটর শুটি, পেঁয়াজ কুচি, চমেটো দিয়ে বানিয়ে ফেলুন পাওভাজি। বাড়তি স্বাদ দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন সবুজ চাটনি। আজ জল খাবারে সকলের মন কাড়তে চাইলে এটাই সেরা অপশন। তাই দেরি না করে ঝটপট রেঁধে ফেলুন পাওভাজি।
স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যের কথা খেয়াল রাখতে বানাতে পারেন আপেল দারুচিনি স্যান্ডউইচ। প্রথমে একটি আপেল নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এবার ব্রাউন ব্রেক সেঁকে নিন। তাতে টুকরো করা আপেলের টুকরো দিন। এবার ওপর থেকে দারুচিনি ছড়িয়ে দিন। ওপর থেকে আরও একটি পাউরুটির টুকরো চাপা দিয়ে দিন। এই স্যান্ডউইচ খুবই সুস্বাদু। ওজন কমাতে খেতে পারেন এটি।
বাঙালির যে কোনও উৎসব মানে মিষ্টি মুখ। আর স্বাধীনতা দিবসে তা হবে না এমন হতেই পারে না। হাতে সময় থাকলে বানিয়ে ফেলুন স্বাধীনতা দিবস স্পেশ্যাল তেরঙ্গা মিষ্টি। এবার এই তেরঙ্গা সন্দেশে ঘটুক স্বাস্থ্যের উন্নতি। ফুড কালার ছাড়াই বানান তেরঙ্গা মিষ্টি, রইল স্বাধীনতা দিবস স্পেশ্যাল মিষ্টির রেসিপি। জাফরান ও পেস্তা দিয়ে বানাতে পারেন মিষ্টি।
Post a Comment