ট্যাটুতে দেব-দেবীর ছবি আঁকালে সাবধান! নিয়ম না মানলে হবে বড় বিপদ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আজকাল অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে গায়ে ট্যাটু আঁকানোর প্রচলন হয়েছে খুবই। হাতে, পায়ে, কাঁধে, পিঠে, ঘাড়ে ও শরীরের আরও অন্যান্য অংশেই ট্যাটু আঁকিয়ে থাকেন অনেকেই। বিভিন্ন ধর্নীয় বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত, এমন ট্যাটুও আঁকান কেউ কেউ। ট্যাটুতে শিব বা গণেশের ছবি, ত্রিশূল আঁকা বা ওম লেখা থাকে অনেকেরই। এই বিষয়টাতেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন জ্যোতিষবিদরা। ফ্যাশনের জন্য় ট্যাটু আঁকান, তাতে ক্ষতি নেই। কিন্তু কয়েকটি সাবধানতা অবলম্বন না করলে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।


জ্যোতিষ অনুসারে গায়ে যে ট্যাটু আমরা করাই, তা আমাদের মানসিক অবস্থা ও আচরণের উপর প্রভাব বিস্তার করে। তাই ধর্মীয় বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত ট্যাটু আঁকানোর আগে আরও একটু সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ধর্মীয় ট্যাটু করানোর আগে তার গঠন ও আকারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে ফ্যাশন করতে গিয়ে তা যেন কোনও ভাবে কারোও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত না দিয়ে ফেলে।


* গায়ে কোনও ধর্মীয় প্রতীক যেমন ওম বা স্বস্তিক আঁকাতে হলে তার আকার সঠিক হওয়া জরুরি। ধর্মীয় প্রতীকের ভুল আকার আপনার জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।


* ট্যাটু হিসেবে গায়ে কোনও মন্ত্র লেখাতে চাইলে খেয়াল রাখবেন তা যেন সঠিক ভাবে লেখানো হয়। ট্যাটু শুধু স্টাইলের জন্য নয়, সৌভাগ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে। ভুল মন্ত্রের ট্যাটু আপনার লাভের বদলে উলটে ক্ষতি করবে। টেনশন ও মানসিক চাপ বাড়বে আপনার উপর।


* ইদানিং অনেকে স্বস্তিক বা শিবের ডমরু, ত্রিশূলের ট্যাটু করালে তাতেও নিজের পছন্দ মতো কিছু আঁকিবুকি করিয়ে থাকেন। জ্যোতিষ শাস্ত্র এই প্রবণতা ত্যাগ করার পরামর্শ দিচ্ছে। কারণ তা না-হলে এই ট্যাটুই ব্যক্তির জীবনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে।


* শরীরের এমন কোনও স্থানে ধর্মীয় ট্যাটু আঁকাবেন না, যাতে তার পবিত্রতা নষ্ট হয়। কোনও ধর্মীয় প্রতীক, মন্ত্র বা দেবদেবীর ছবি ট্যাটু হিসেবে হাতের তালু বা পায়ের পাতায় ভুলেও করানো যাবে না। আমাদের হাতে সারাদিন অনেক নোংরা জিনিসের স্পর্শ লাগে, হাত দিয়ে আমরা খাবার খাই। তাই হাতের পাতায় কখনোই ধর্মীয় ট্যাটু করানো ঠিক নয়। একই ভাবে পায়েও ধর্মীয় ট্যাটু আঁকালে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানা হয়।


* পিঠে বা বাহুতে ধর্মীয় ট্যাটু আঁকাতে পারেন। তবে তার আকার ও আয়তন সঠিক হওয়া জরুরি। না হলে ওই ট্যাটু আপনার জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.