'এই গুণাবলী সম্পন্ন মানুষরাই প্রকৃত জ্ঞানী মানুষ, সবাই এদের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য' জানায় বিদুর নীতি



 ODD বাংলা ডেস্ক: এসব গুণের অধিকারী ব্যক্তিকেই প্রকৃত জ্ঞানী বলা হয়। এমন জ্ঞানী ব্যক্তির কোনও কিছুরই অভাব নেই। সবাই তাদের সামনে মাথা নত করে। আসুন জেনে নেই এই গুণগুলো কী কী।

 

মহাত্মা বিদুর মহাভারতের একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি মহারাজা ধৃতরাষ্ট্রকে অনেক প্রয়োজনীয় কথা বলেছেন যা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। বিদুর নীতিতে এমন কিছু গুণের বর্ণনা করা হয়েছে যা প্রকৃত অর্থে একজন জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে থাকে। অর্থাৎ এসব গুণের অধিকারী ব্যক্তিকেই প্রকৃত জ্ঞানী বলা হয়। এমন জ্ঞানী ব্যক্তির কোনও কিছুরই অভাব নেই। সবাই তাদের সামনে মাথা নত করে। আসুন জেনে নেই এই গুণগুলো কী কী।


দুর্লভ জিনিসে লোভ নেই-

শ্লোক : নপ্রাপ্যম্ভিবাঞ্চন্তি নাস্তম নেছান্তি শোচিতুম। অপতসু চ ন মুহ্যন্তি নরহ পণ্ডিতবুদ্ধায়ঃ

অর্থ : যে ব্যক্তি দুর্লভ বস্তু পেতে চায় না এবং বিনষ্টীয় বাস্তু হারানোর জন্য শোক করে না। প্রতিকূলতা এলে তারা তাদের মুখোমুখি হয়। তাদেরকেই প্রকৃত অর্থে জ্ঞানী বলা হয়।


রাগ , অহং ইত্যাদি খারাপ গুণ নেই-

শ্লোক : ক্রোধো হর্ষশ্চ দর্পশ্চ হ্রী: স্তম্ভো মান্যতামনিতা। যমর্থন নপকর্ষন্তি সা বৈ পণ্ডিত উচ্যতে

অর্থ : যে ব্যক্তির মধ্যে রাগ, অহংকার, স্বার্থপরতা, অতিরিক্ত উদ্যম, কুকর্ম, অহংকার ইত্যাদি খারাপ গুণ নেই। তাকে বলা হয় প্রকৃত জ্ঞানী বলা হয়।


রাজধর্মে নিরপেক্ষ মনোভাব-

শ্লোক : যস্য কৃত্যম্ ন বিঘ্নন্তি শীতমুষ্নাম্ ভয়ম রতিঃ। সমৃধিরসমৃধির্ব সা বৈ পন্ডিত উচ্যতে

অর্থ : ধনী-দারিদ্র্য, ঠান্ডা-তাপ, প্রেম-ঘৃণা ইত্যাদির মতো অদ্ভুত পরিস্থিতিতেও যিনি শান্ত অবিচল, তিনিই প্রকৃত জ্ঞানী।


প্রতিটি কাজ তার কর্তব্য-

শ্লোক : ক্ষিপ্রম বিজানাতি চিরম শ্রণোতি বিদ্যায় চর্থ ভাতে ন কামত। নাসমপ্রতো ব্যূপযুক্তে পার্থে তত্ প্রজ্ঞাম প্রথম পণ্ডিতস্য।

অর্থঃ যারা যে কোনও বিষয় খুব দ্রুত বুঝে ফেলে। তার পরেও খুব ধৈর্য ধরে কারও কথা শোনা এবং যে কোনও কাজকে তার কর্তব্য মনে করে করা। অন্য কারও সম্পর্কে অযথা কথা না বলা। প্রকৃত জ্ঞানীর লক্ষণ।


বিপরীত পরিস্থিতিতেও অবিচল থাকা-

শ্লোক : আত্ম-জ্ঞান সমরম্ভ তিতিক্ষা ধর্মনিত্যতা। যমর্থন্নপকর্ষন্তি সা বৈ পণ্ডিত উচ্যতে

অর্থ : যে ব্যক্তি তার যোগ্যতা বুঝে সে অনুযায়ী কল্যাণমূলক কাজ করে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তার ধর্মের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া উচিত নয়, তার দুঃখ সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তাকে জ্ঞানী বলা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.