চুলের ধরন যদি পাতলা হয়, তাহলে ভুলেও করবেন না এই কয়টি কাজ, হতে পারে ক্ষতি



 ODD বাংলা ডেস্ক: চুল নিয়ে সব সময় চলে চুল চেরা বিশ্লেষণ। খুশকি, চুল পড়া, ডগা ফাটা মতো একাধিক সমস্যা নাজেহার অবস্থা সকলের। আর বর্ষার মরশুমে যেন সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। কখনও ড্যামেজ চুল, কখনও চুল পড়ার মতো সমস্যা। এদিকে সকলের চুলের ধরন আলাদা। তাই যাদের পাতলা চুল তারা আরও সমস্যায় ভোগেন। পাতলা চুলে যদি বাড়ে চুল পড়ার সমস্যা তাহলে তা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সকলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি শ্যাম্পু বদল করেন। তো কেউ পার্লার ট্রিটমেন্ট করেন, তেমনই কেউ বাজার চলতি নানান প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন, আবার অনেকে বানান ঘরোয়া প্যাক। এবার মেনে চলুন এই কয়টি জিনিস। যাদের চুলের ধরন যদি পাতলা হয়, তাহলে ভুলেও করবেন না এই কয়টি কাজ, হতে পারে ক্ষতি।


হিট দেবেন না পাতলা চুলে। চুল নিয়ে সারাক্ষণ চলে এক্সপেরিমেন্ট। কখনও স্ট্রেট করছেন তো কখনও কার্ল। এবার ভুলেও দেবেন না হিট। এই সকল স্টাইলিং করার কারণে বাড়ে চুল পড়ার সমস্যা। তাই বন্ধ করুন এই কাজ। বিশেষ করে বর্ষার মরশুমে যতটা পারবেন হিট থেকে দূরে রাখুন চুল। এতে মিলবে উপকার। 


অনেকেই পাতলা চুলে তেল দিতে চান না। এতে চুলে ভলিউম কমে যায় বলে অনেকের ধারণা। এই ধারণা একেবারে ভুল। চুলে পুষ্টি জোগাতে অবশ্যই তেল দিন। একটি বোতলে তেল ভরে তা চুলে স্প্রে করুন। এতে স্ক্যাল্প থেকে ডগা পর্যন্ত তেল থাকবে ফলে চুলে পুষ্টির জোগান ঘটবে। পাতলা চুলের যত্নে মেনে চলুন এই টোটকা।  


অধিক তেল দেবেন না পাতলা চুলে। এতে আরও তেলা লাগবে। আপনার চুলে যতটা দরকার ততটা তেল দিন। তবে, সবার আগে দেখে নিন যে তেল ব্যবহার করছেন, তা আপনার চুলে উপযুক্ত কিনা । সঠিক পণ্য ব্যবহান না করলে বাড়তে থাকে সমস্যা। তাই মেনে চলুন এই বিশেষ নিয়ম। তবেই মিলবে উপকার।  


চুল ঘন করতে ঘরোয়া টোটাকা ব্যবহার করুন। নিয়মিত পেঁয়াজের রস লাগান। এতে চুলের বৃদ্ধি ঘটবে। তেমনই মেথি ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন আমলকির প্যাক। এই ধরনের ঘরোয়া উপাদান নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এই সকল টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। এতে মিলবে উপকার। সপ্তাহে ৩ দিন এমন প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। 


চুল ঘন করার জন্য বাজারে একাধিক পণ্য পাওয়া যায়। সেই সকল পণ্য ব্যবহার করুন। এতে অনেক সময় উপকার মেলে। আপনার চুলে তা উপযুক্ত কিনা সে প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তারপর ব্যবহার করুন এমন চুল ঘন করার পণ্য। মিলবে উপকার। তবে, সঠিক পণ্য বেছে নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে বিপদে পড়তে পারেন। 


পাতলা চুলে ভুলেও কেমিক্যাল যুক্ত হেয়ার মাস্ক ও সিরাম ব্যবহার করবেন না। এতে চুলের ক্ষতি হয়। আর বৃদ্ধি পায় সমস্যা। ফলে চুল পড়া বাড়ে। যতটা পারবেন ততটা দূরে রাখুন কেমিক্যাল। তবেই চুল সুন্দর থাকবে। মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা। যাবতীয় সমস্যা দূর হবে। চুল হবে সুন্দর। হবে ঘন।   


প্রোটিন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ডিম ও দই দিয়ে বানাতে পারেন Protein Hair Mask। চুলের যত্নে এই প্যাক বেশ উপকারী। চুলে পুষ্টি জোগাতে ব্যবহার করুন দই ও ডিম দিয়ে তৈরি Protein Hair Mask। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ দই নিন। তাতে মেশান একটি ডিমের হলুদ অংশ। ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার তা চুলের স্ক্যাল্প থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত লাগান। মিলবে উপকার।   


রোজ ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল খান। পর্যান্ত জলের অভাব ঘটলে চুল পাতলা হয়ে যায়। তাই রোজ নির্দিষ্ট পরিমাণ জল পান করুন। এতে চুল পড়া যেমন বন্ধ হবে তেমনই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।  মেনে চলুন এই কয়টি জিনিস। যাদের চুলের ধরন যদি পাতলা হয় তাহলে রোজ ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল খান। 


চুল পড়া বন্ধ করতে পালংশাক খান। পালং শাকে রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান। যা চুল পড়া বন্ধ করে আর শরীরে পুষ্টি জোগায়। তাই রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন পালং শাক। আমলকী রাখুন খাদ্যতালিকায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। বহু যুগ ধরে আমলকি চুলের যত্ন ব্যবহার হয়ে আসে। আমলকি খাওয়ার পাশাপাশি মাখতেও পারেন। 


খেতে পারেন নারকেল তেল। নারকেল তেল রান্না করতে পারেন। এতে রয়েছে লরিক অ্যাসিড যা চুলে পুষ্টি জোগায়। এই তেল চুলে মাখলেও সমান উপকার পাবেন। সপ্তাহে এক দিন অন্তত নারকেল তেল দিয়ে মাসাজ করুন। এতে উপকার পাবেন। প্রতি সপ্তাহে ব্যবহার করুন এই তেল। অথবা নারকেল তেল দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করুন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.