পিঠ দিয়ে সন্তান প্রসব করে এই ব্যাঙ
ODD বাংলা ডেস্ক: কোলা কিংবা কুনো ব্যাঙ আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তবে সারা বিশ্বে প্রায় প্রায় ৪,৩৬০টি প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রজাতির ব্যাঙ হচ্ছে সুরিনাম টোড বা তারা আঙ্গুলযুক্ত টোড। বাংলায় এটিকে জলজ টোডও বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম পিপা পিপা।
এই প্রজাতির ব্যাঙ সাধারণত বলিভিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, ফরাসি গায়ানা, গিয়ানা, পেরু, সুরিনাম, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং ভেনিজুয়েলাতে পাওয়া যায়। এর প্রাকৃতিক আবাসস্থল হল উপ-ক্রান্তীয় বা গ্রীষ্মমন্ডলীয় আর্দ্র নিম্নভূমি বন, উষ্ণমন্ডলীয় বা গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলাভূমি, জলাভূমি, মিঠা পানির জলাভূমি এবং মাঝে মাঝে মিঠা পানির জলাভূমি।
সাধারণত সুরিনাম তুষারপাত বা একটি গর্তযুক্ত বাদামি পাতার মতো দেখা যায় এবং এটি প্রায় সম্পূর্ণ সমতল। এর পায়ের পাতা তারার মতো আর অঙ্গুলগুলো তুলনামূলক ছোট। এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ সেন্টিমিটার (৮ ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে বেশিরভাগ ১০ থেকে ১৩ সেমি (৪ থেকে ৫ ইঞ্চি)পর্যন্ত হয়ে থাকে। সুরিনাম টোডের খুবই ছোট। যা আপনার খালি চোখে খুঁজে পেতে একটু কষ্ট হতে পারে। এদের কিন্তু দাঁত এবং জিহ্বা কোনোটি নেই।
সুরিনাম ব্যাঙ দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে জলাশয় এবং নদীতে পাওয়া যায়। এটি একটি শিকারী প্রাণী। এরা এদের তারার আঙ্গুলযুক্ত হাত দিয়ে ছোট মাছ এবং পোকা মাকড় ধরে খায়। এই প্রজাতির ব্যাঙের প্রজনন পর্ব জানলে অবাক হবেন বৈকি! এই প্রজাতির ব্যাঙেরা বাচ্চা প্রসব করে পিঠ দিয়ে।
আসলে স্ত্রী ব্যাঙ ডিম পাড়ার পর তা পিঠের চামড়ার ভেতরে রেখে যায়। একটি স্ত্রী ব্যাঙ একবারে তিন থেকে ১০ টি ডিম দেয়। চামড়ার চেতরে এক ধরনের পকেট তৈরি হয়। সেখানেই ডিমগুলো ফুটে বাচ্চা হয়। এরপর পকেটের ভেতর থেকে বাচ্চাগুলো বেরিয়ে আসতে শুরু করে। স্ত্রী ব্যাঙের পিঠের চামড়া খুবই পাতলা হয়ে থাকে।
Post a Comment