করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টমেটো ফ্লু, সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এই কয়টি খাবার



 ODD বাংলা ডেস্ক: বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। পুজোয় সংক্রমণ আটকাতে ইতিমধ্যে বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা দেশে বাড়ছে সংক্রমণ। একদিকে করোনার চতুর্থ ঢেউ, অন্য দিকে মাঙ্কি পক্স আর টমেটো ফ্লু। বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক ফ্লু-তে আক্রান্ত হচ্ছে বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলে। একদিকে যেমন দেখা যাচ্ছে করোনায় আক্রান্ত রোগী তেমনই বাড়ছে টমেটো ফ্লু। মূলত পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে টমেটো ফ্লু-তে। জ্বর, গায়ে হাত-পা ব্যথা, ত্বকের সংক্রমণের মতো একাধিক উপসর্গ দেখা যাচ্ছে এই রোগে। এই সময় যে কোনও ভাইরাস থেকে বাঁচতে সকলের প্রয়োজন সতর্ক থাকা। ফ্লু থেকে বাঁচতে বদল আনুন খাদ্যতালিকায়। রইল কয়টি খাবারের কথা। যা সুস্থ রাখবে আপনাকে।  


সবজির স্যুপ খান। প্রায় সব সবজিতেই আছে উপকারী উপদান। ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন থেকে শুরু করে রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান। রোজ অসুস্থ ব্যক্তিকে ১ বাটি করে সবজি সেদ্ধ খাওয়ান। এই সময় অনেকের চিবিয়ে খেতে কষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে স্যুপের খুব ছোট ছোট করে সবজি কেটে দিন। তাহলে খেতে কষ্ট হবে না। 


এই সময় নিয়মিত চিকেনের স্যুপ খান। প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন থেকে শুরু করে একাধিক উপাদান আছে মাংসে। এই সময় তেল-মশলা ছাড়া স্যুপ খেলে মিলবে উপকার। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তেমনই ফ্লু থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এই সময় নিয়ম করে চিকেন স্যুপ খাওয়া দরকার। 



রসুন খেতে পারেন এই সময়। গবেষণা দেখা গিয়েছে, রসুনে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। নিয়ম করে ১ কোয়া রসুন খান। যে কোনও রোগ আক্রান্ত হলে তো খাবেনই সঙ্গে এমনিও খেতে পারেন এই উপাদান। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। 


খেতে পারেন দই। দই প্রোবায়োটিকের ভালো উৎস। এটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। শরীর সুস্থ রাখতে হোক কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠন দই খাওয়া উপকারী। এমনকী, যারা রোগা হতে চাইছেন তারাও নিয়ম করে দই খেতে পারেন। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। 


যে কোনও ফ্লু-তে আক্রান্ত হলে খাদ্যতালিকায় রাখুন ভিটামিন সি যুক্ত ফল। এই পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীর রাখে সুস্থ। প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণ করে ভিটামিন সি যুক্ত ফল। তাই নিয়ম করে এমন ফল খান। তাছাড়া, চিকিৎসকের মতে রোজ একটি করে উপকারী ফল খাওয়া প্রয়োজন। এতে যে কোনও রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 



রোজ পালং শাক কিংবা অন্য শাক খান। এতে ভিটামিন এ, সি, ই ও কে থাকে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। তেমনই সবুজ শাক শরীরে পুষ্টির জোগান ঘটায়। তবে, মশলা দিয়ে শাক রান্না করলে তার থেকে উপকার পাওয়া কঠিন। কম তেল ও মশায় শাক রাঁধন। তবেই মিলবে উপকার। 


খেতে পারেন ব্রকলি। ব্রকলি একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে আছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন সি ও ই-এর মতো উপাদান। যা শরীর রাখে সুস্থ তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই নিয়মিত খেতে পারেন ব্রকোলি। আর এই সবজি সকলের জন্য উপকারী। ফলে বাচ্চাদেরও খাওয়ানো যায় এটি। 


ওটস খেলে মিলবে উপকার। অধিকাংশের মতেই ওজন কমাতে ওটস খাওয়া উপকারী। কিন্তু, জানেন কি নিয়মিত ওটস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ওটসে আছে একাধিক পুষ্টিগুণ। যা একদিকে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তেমনই শরীরে পুষ্টি জোগায়। তাই নিয়ম করে ওটস খান। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। দূর হবে ফ্রু-এর সমস্যা। 


মশলার গুণে ফ্লু থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আদা, হলুদের মতো মশলা সব রান্নাতেই ব্যবহার হয়ে থাকে। এটি শুধু খাবারে স্বাদ ফেরায় এমন নয়। এর গুণে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই সকল মশলায় আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা শরীর সুস্থ রাখে। রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 


ক্রমে বাড়ছে টমেটো ফ্লু। মূলত পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে টমেটো ফ্লু-তে। জ্বর, গায়ে হাত-পা ব্যথা, ত্বকের সংক্রমণের মতো একাধিক উপসর্গ দেখা যাচ্ছে এই রোগে। এই সময় যে কোনও ভাইরাস থেকে বাঁচতে সকলের প্রয়োজন সতর্ক থাকা। ফ্লু থেকে বাঁচতে বদল আনুন খাদ্যতালিকায়। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.