আজব রীতি! যেখানে ননদকেই বিয়ে করেন পাত্রী!!
ODD বাংলা ডেস্ক: সাধারণভাবে নারী পুরুষের মধ্যেই বিয়ের সম্পর্ক হয়। আবার নানা দেশে নানান রীতির মধ্য দিয়ে তা হয়ে থাকে। তবে এখানে ব্যাপারটা একদমই ভিন্ন।
বলা হচ্ছে যে তিনটি গ্রামের কথা, সেখানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দুজন মহিলা। আবার বিবাহিত হলেও তারা বিবাহিত জীবন-যাপন করেন না। এমনই কিছু অদ্ভুত রীতি রয়েছে ওই তিন গ্রামে।
গুজরাটে এমনই তিনটি গ্রাম রয়েছে। প্রদেশটির প্রত্যন্ত এ গ্রামগুলোর নাম হলো- সুরখেদা, সানাদা ও অম্বাল গ্রাম।
জানা গেছে, উপজাতি অধুষ্যিত এই এলাকায় বিয়েতে অনুপস্থিত থাকেন পাত্র। এমনকী বিয়ের আসরের আশেপাশেও তাকে দেখা যায় না৷ এর থেকেও অদ্ভুত নিয়ম হলো পাত্রের অবিবাহিত বোনকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন পাত্রী। এমনকী রীতি মেনে বিয়ের দিন সকাল থেকেই পাত্রের যা যা নিয়ম পালনের কথা, তার সবকিছুই পালন করেন তার বোন। এরপর সময় মতো বরযাত্রীর সঙ্গেই কনের বাড়িতে হাজির হন পাত্রের বোন। সমস্ত নিয়ম মেনে পাত্রের বোনের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধেন পাত্রী।
তবে এই সময় পাত্রের ভূমিকা ঠিক কী? না, কার্যত তার কোনো ভূমিকাই নেই। তবে বিয়ের পোশাকে তৈরি থাকেন তিনি। কিন্তু থাকেন বাড়িতেই, মায়ের সঙ্গে। বোনই বিয়ে করে তার স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হন বাড়িতে।
এদিকে গুজরাটের ওই গ্রামগুলিতে কেন এ অদ্ভুত নিয়ম? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বাস, এই নিয়মই সংসার জীবনে খুশি নিয়ে আসে। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই প্রথার অন্যথা হলে পরিবারে নেমে আসবে কোনো বিপদ। অঘটন ঘটবে সদস্যদের জীবনে। নয়তো বা বিচ্ছেদ হয়ে যাবে দম্পতির।
আর এসব সমস্যা এড়াতেই দীর্ঘদিন ধরে এই তিন গ্রামের ছেলেদের অবিবাহিত বোনেরাই তাদের ভাই বা দাদার জন্য বাড়িতে নতুন বউ নিয়ে আসেন। যদিও কবে থেকে এই রীতির প্রচলন হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এই তিন গ্রামের অভিনব রীতি নিয়ে কিন্তু অন্যদের উৎসাহের শেষ নেই বললেই চলে৷
Post a Comment