পর্দা কিনতে পাঠালেন স্ত্রী, বদলে স্বামী কিনে আনলেন স্টোনহেঞ্জ

ODD বাংলা ডেস্ক: নিলামে স্টোনহেঞ্জের দাম উঠেছিল পাঁচ হাজার পাউন্ড। তবে এর থেকে ১০০ পাউন্ড করে বেড়ে বে়ড়ে এই অঙ্ক দাঁড়ায় ছয় হাজার পাউন্ডে। তবে স্টোনহেঞ্জের জন্য এর থেকে বেশি দাম আর কেউ দিতে রাজি ছিলেন না। ‘স্টোনহেঞ্জ অমূল্য’, এই বলেও নিলামকারী এই স্মৃতিস্তম্ভের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে এর পরও আর কেউ স্টোনহেঞ্জের দাম বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি।

নিলামকারী ছ’হাজার পাউন্ড থেকে দাম আরও বাড়ানোর আগেই নিলামে উঠে আসে সেসিলের হাত। এক ধাক্কায় ৬০০ পাউন্ড বৃদ্ধি করে ছ’হাজার ৬০০ পাউন্ড (বর্তমান ভারতীয় মূল্যে প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা) দর হাঁকান সেসিল। এর থেকে বেশি মূল্য কেউ দিতে রাজি না থাকায় সেসিলের হাতেই স্টোনহেঞ্জের মালিকানা তুলে দেন নিলামকারী। তবে সেসিলের এই নতুন সম্পত্তিতে বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না তার স্ত্রীর। বরং খানিকটা বিরক্ত এবং রাগই হয়েছিল তার।

সিসেল একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘আমি যখন নিলামঘরে ছিলাম তখন আমি ভেবেছিলাম যে কোনো স্থানীয় মানুষেরই এই সম্পত্তি কেনা উচিত।’ সেসিল এ-ও আশঙ্কা করেছিলেন যে যদি কোনো ধনী বিদেশি স্টোনহেঞ্জ কিনে ফেলেন তা হলে তিনি এটা ভেঙে বিদেশে নিয়ে চলে যেতে পারেন। কেনার তিন বছর পর, সেসিল ব্রিটিশ জনগণকে স্টোনহেঞ্জ উপহার দেন। স্থানীয়রা যাতে বিনামূল্যে এই স্মৃতিস্তম্ভ দেখতে পারেন তার ব্যবস্থা করে গিয়েছিলেন তিনি।

স্টোনহেঞ্জ দান করার পর তিনি বলেন, ‘স্টোনহেঞ্জ আমাদের দেশের স্মৃতিসৌধগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয়। আমি এর মালিক হতে পেরে খুবই খুশি হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম দীর্ঘসময় ধরে এই স্মৃতিস্তম্ভের মালিকানা আমার পরিবারের কাছে থাকবে। তবে স্টোনহেঞ্জ আমার উপর চাপ সৃষ্টি করছে। আমার মনে হয়েছে যে দেশবাসীর উদ্দেশে এই স্তম্ভ আমার দান করে দেওয়া উচিত। দেশবাসীই এই স্তম্ভের সবচেয়ে বেশি দাম দেবে।’

সেসিলের দানের পর ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ সরকার স্টোনহেঞ্জের সংস্কার শুরু করে। পাথর সোজা করে এবং কংক্রিট দিয়ে বাঁধিয়ে এই স্মৃতিস্তম্ভের হাল ফেরানো হয়। ১৯২০-এর দশকে স্টোনহেঞ্জকে চারপাশে নতুন নতুন বাড়ি তৈরি হতে শুরু হলে দেশব্যপী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তৈরি হয়। ১৯২৮ সালে ন্যাশনাল ট্রাস্ট স্মৃতিস্তম্ভের চারপাশের জমিগুলি কিনে নিয়ে ঐ এলাকায় বাড়ি তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.