পিরিয়ডের সময়ে গোয়ালঘরে ঘুমাতে হয় নারীদের!

ODD বাংলা ডেস্ক: শীত কিংবা গ্রীষ্ম হোক নারীদের পিরিয়ড হলে গোয়ালঘরে ঘুমাতে হয়। নয়তো ঘরের বাইরে খোলা জায়গায় ঘুমানোর সুযোগ হয় তাদের। ঐ সময়ে অন্য কোনো ঘরের ভেতরে যাওয়া যায় না। রান্নাঘরে পা রাখতে পারেন না নারীরা। হিমাচল প্রদেশে কুলু এলাকায় এই রীতি আছে। প্রতিমাসেই পিরিয়ড চলাকালে কোনো নারী ঘরের ভেতরে যাওয়ার সুযোগ পান না। কুলু অঞ্চলের একটি পুরুষ-প্রধান গ্রাম। ঐ গ্রামের নারীরা পিরিয়ড চলাকালে স্বামী- সন্তানদের থেকে আলাদা থাকে। 

কুলু এরকম একটা জায়গা, যেখানে সবুজ গাছ আর রঙিন ফুলে ভরা মনোরম উপত্যকা। দেশ বিদেশের পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে এখানে। সেই অঞ্চলেই এরকম একটা নিদারুণ প্রথা রয়েছে। কুলুর পাহাড়ি এলাকার গ্রামের নারীদেরকে এখনো পিরিয়ডের সময়ে গোয়ালঘরে শুতে হয়। গোবরের গন্ধভরা পরিবেশে থাকতে চান না তারা, কিন্তু তাদের এই প্রথা না মেনে চলারও উপায় নেই।

ঐ সময়টায় তারা কাউকে ছুঁতে পর্যন্ত পারেন না। নারীদের নোংরা, অপবিত্র মনে করা হয়। কুলু অঞ্চলের মানুষ বিশ্বাস করেন যে পিরিয়ডের সময়ে যদি নারীরা বাড়ির ভেতরে ঢোকেন, তাহলে ঘর অপবিত্র হয়ে যাবে অথবা দেবতা রাগ করবেন। এই বিশ্বাস যে শুধু অশিক্ষিত বা অর্ধ-শিক্ষিত মানুষের মধ্যে রয়েছে, তা নয়।  প্রাচীন রীতির হাত থেকে শিক্ষিত নারীরাও রেহাই পান না।

তবে, প্রাচীন প্রথা বদলানোর চেষ্টা করছে সরকার। পিরিয়ডের সময়ে গোয়ালঘরে যাতে নারীদের না শুতে হয়, তার জন্য ঐ এলাকায় 'নারী গরিমা' নামের একটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমেই সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছে সরকার।  বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে যে গোয়ালঘরে রাত কাটালে নারীদের অনেক ধরনের রোগ হতে পারে। পথ-নাটিকা, লোকগীতি আর নাচের মাধ্যমে এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.