সবচেয়ে বড় হাঁ করে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন আইজ্যাক

 


ODD বাংলা ডেস্ক: হাঁ করে বিশ্বরেকর্ড গড়েলেন যুক্তরাষ্ট্রেরের মিনেসোটায়ের বাসিন্দা আইজ্যাক জনসন। আইজ্যাক জনসনের বিশেষ দক্ষতা হলো সে বিরাট বড় হাঁ করতে পারেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে নিজের মুখের কারণে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছে সে। 

শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আইজ্যাক সবচেয়ে বড় হাঁ করতে পারে। আর এই কিশোরের মুখ হাঁ করলে আস্তো একটি বড়সড় আপেল তাতে অনায়াসে ঢুকে যায়। আর এই জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম উঠেছে আইজ্যাকের।


সবচেয়ে বড় হাঁ করার জন্য ২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো এই কিশোরের নাম গিনেস বুকে ওঠে। গিনেসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ঐ সময় আইজ্যাকের বয়স ছিল ১৪ বছর। তখনই সে হাঁ করলে তার ওপরের পাটি ও নিচের পাটির দাঁতের ব্যবধান দাঁড়াত ৩ দশমিক ৬৭ ইঞ্চি। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বড় হাঁ করার রেকর্ড গড়ে সে।


এরপর ২০১৯ সালের নভেম্বরে আইজ্যাকের এ রেকর্ড ভেঙে দেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিপ আনগুস। পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দা ফিলিপ ৩ দশমিক ৭৫ ইঞ্চির হাঁ করতে পারতেন। 


রেকর্ড হাতছাড়া হওয়ার পর মুখের হাঁ বড় করার চেষ্টা করে আইজ্যাক। টানা অনুশীলনে সে সফলতা পায় ২০২০ সালে এসে। ঐ বছর সে দাবি করে, তার মুখের হাঁ আরো বড় হয়েছে।



২০২২ সালে এসে আবার এ রেকর্ড আইজ্যাকের দখলে এসেছে। গিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইজ্যাকের মুখের হাঁ এখন ৪ দশমিক শূন্য ১৪ ইঞ্চি। ইতালির মিলানে একটি আয়োজনে এ মাপের হাঁ করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে আইজ্যাক। 


নিজের ও ফিলিপের আগের রেকর্ড ভেঙে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। এই কিশোরের মুখ দিয়ে অনায়াসে বড় আকারের একটি আপেল এবং দুইটি আস্তো কমলা ঢুকে যায়।


নতুন রেকর্ড গড়ে বেশ খুশি আইজ্যাক। গিনেস কর্তৃপক্ষকে এই কিশোর বলেছে, ‘আমার মতো বড় হাঁ আর কেউ করতে পারে না। এ বিষয়ে বিশ্বে আমি অনন্য। এটা ভাবতেই বেশ ভালো লাগে।’ 


আইজ্যাক আরো বলেছে, ‘শৈশব থেকেই আমার মুখের হাঁ বেশ বড়। এটা আমি বুঝতে পারতাম। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা আমাকে এ কথা বলত। ২০১৫ সালে এসে আমি এ বিশেষ গুণের জন্য রেকর্ড করার কথা ভাবতে শুরু করি। অনুশীলনের মধ্য দিয়ে আরো বড় হাঁ করার চেষ্টা করি। এতে আমি সফলতাও পেয়েছি।’

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.