আমেরিকানরা কেটলি ব্যবহার করে না কেন? জানলে চমকে যাবেন
ODD বাংলা ডেস্ক: চা বানাতে কেটলির বিকল্প কি হতে পারে? পাতিল কিংবা ইলেকট্রিক চা বা কফি মেকার। তবে গৃহস্থালি সরঞ্জামের মধ্যে কেটলি খুবই ব্যবহৃত একটি। চটজলদি চা বানানো বা জল গরম করার জন্য বৈদ্যুতিক কেটলির ব্যবহারও অনেক বেশি।
তবে জেনে অবাক হবেন যে, বিশ্বের প্রায় সব দেশে কেটলি ব্যবহার হলেও শুধুমাত্র আমেরিকানরা বৈদ্যুতিক কেটলি ব্যবহার করেনা। বরং তারা এখনও স্টোভেই জল গরম করে থাকে! কিন্তু বিশ্বের অন্যতম একটি আধুনিক দেশে এই অস্বাভাবিকতার এর পেছনে একটি কারণ তো রয়েছে বটেই।
আমেরিকানদের বৈদ্যুতিক কেটলি ব্যবহারের প্রতি অনাগ্রহ ইতিমধ্যেই নানা প্রান্তের মানুষকে অবাক করেছে। সম্প্রতি রিয়েলিটি শো 'লাভ আইল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া'র হোস্ট, সোফি মংক তার যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একাধিক আমেরিকান দোকানে গিয়ে কেটলি কিনতে চাওয়ায়, দোকানীরা তার দিকে বিভ্রান্ত হয়ে তাকিয়েছেন, যা তাকে অত্যন্ত অবাক করেছে!
সোফি ১০ বছর আমেরিকায় কাটিয়েছেন এবং তিনি নিজের চোখকে বিশ্বাসই করতে পারেননি যে মার্কিনিরা স্টোভে জল গরম করে। ইয়াহু লাইফস্টাইল অস্ট্রেলিয়াকে তিনি বলেন, "আমি দোকানে গিয়ে একটা কেটলি খুঁজছিলাম, আর তারা আমায় এমনভাবে উত্তর দিল (আমেরিকান উচ্চারণে) 'কেটলি?' ভাবটা এমন, যেন তারা জানেই না এটা কি জিনিস! তারা এগুলো ব্যবহারই করে না, সেখানে আসলে কারো ঘরেই কেটলি নেই, কি আশ্চর্য!"
তবে আমেরিকানদের বৈদ্যুতিক কেটলি ব্যবহার না করার পেছনের যুক্তিটাও খুব সাদামাটা। আমেরিকার বাড়িগুলোতে শুধু ১০০-১২৭ মাত্রার বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ থাকে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশে ভোল্টেজের মাত্রা থাকে ২৩০। সে কারণেই আমেরিকায় কেটলিতে জল গরম করতে দিলে তা ব্রিটেনের চাইতে দেরিতে গরম হয়। তাই আমেরিকানরাও আর কেটলি নিয়ে মাথা ঘামায় না। তার চেয়ে বরং চুলায় অথবা মাইক্রোওয়েভে পানি গরম করে নেয়।
মার্কিনিদের কেটলি ব্যবহারে অনীহা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই আলোচনা হয়ে আসছে। রেডইট তাদের পোস্টে জানিয়েছে, কেটলি ব্যবহার না করার আরেকটি কারণ হলো, আমেরিকানদের মধ্যে চা খাওয়ার রেওয়াজ নেই। তার বদলে, বহু মার্কিন পরিবার একটা কফি মেশিন কিনে কাজ চালিয়ে নেয়।
গেল জানুয়ারিতে এক অস্ট্রেলিয়ান টিকটক ব্যবহারকারী আমেরিকানদের এই অভ্যাস জানতে পেরে অবাক প্রতিক্রিয়া দেখান। আরো অনেকেই ওই নারীর সঙ্গে একমত হয়ে এটিকে 'আজব', 'উদ্ভট' বলেও আখ্যা দেন। তবে সংস্কৃতি আর অভ্যস্ত হওয়া অভ্যাস থেকে বেড়িয়ে আসা একটু কষ্টই বটে!
Post a Comment