সাপ নয়, তবু সাপের বিষের বাহক এই অন্ধরা

ODD বাংলা ডেস্ক: সাপের বিষে যে জৈব রাসায়নিক উপাদান থাকে, তাদের বিষেও থাকে ঠিক একই জৈব উপাদান। চোখে দেখতে পায় না, তবু দুটি গ্রন্থি থেকে বিষ নিঃসরণ করতে পারে সমানে। একটি প্রাণীর কথা বলছি। এই প্রাণীটির নাম রিংড ক্যাসিলিয়া। ইংরেজিতে ringed caecilian নামেই তাকে চেনে প্রাণীবিজ্ঞান। এই প্রজাতিটিকে সিফনোপস অ্যানুলাটাস নামেও চেনে অনেকেই।  

বিষাক্ত প্রাণী বললেই যার কথা প্রথম মনে হয় সেটা হল সাপ ৷ এ ছাড়াও অবশ্য বেশ কিছু টিকটিকি, স্যালমান্ডারও আছে ৷ তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এই প্রজাতির প্রাণীটিকে অন্তত বিষাক্ত বলে চিহ্নিত করেছেন। ঠিক সাপের যেভাবে বিষের গ্ল্যান্ড থাকে এই  প্রাণীটিরও তেমনই বিষাক্ত গ্ল্যান্ড রয়েছে৷

রিংড ক্যাসিলিয়া মূলত উভচর প্রাণী। ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলে এই ধরনের উভচর পাওয়া যায়। এরা আমেরিকা, আফ্রিকা অঞ্চলের নিয়মিত বাসিন্দা। জলের পাশাপাশি এরা জলীয় জায়গায় নিজের তৈরি গর্তেও বাস করে ৷

এ প্রাণী কার্যত অন্ধ। টেনট্যাকলসের সাহায্যে অনুভূতির মাধ্যমে এরা আগাতে থাকে।

উভচর বললে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাঙের কথা মনে পড়ে। ব্যাঙ সাধারণত কোনো ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু এই প্রজাতির উভচররা অত্যন্ত বিষধর। নিজের খাদ্যের উপস্থিতি বোঝার জন্য এরা নিজেদের ত্বকের সাহায্য নেয়।

এই ধরণের উভচরের লেজের দিকে একটি বিষগ্রন্থি থাকে। আর মাথার দিকে থেকেও একধরণের আরেকটি বিষগ্রন্থি থাকে। বিষ নিঃসরণ হয় দুদিক থেকেই।

এদের গ্ল্যান্ড থেকে যে তরল পদার্থগুলো নিঃসরণ হয় তার বায়োকেমিক্যাল টেস্ট করে জানা গেছে, এর মধ্যে রয়েছে phospholipase A2। প্রোটিন বাদ দিলে বিষে এই কম্পোনেন্ট থাকে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এরা সাপের মতো বিষ উৎক্ষেপণ করতে পারে না বরং নিজের তীক্ষ্ণ পয়েন্ট শরীরে ঢুকিয়ে দিয়ে এরা বিষ ঢেলে দেয়৷

এই উভচরকে নিয়ে খুব কমই গবেষণা হয়েছে, ফলে তাদের নিয়ে প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সেসব তথ্য সবাইকে অবাক করে দিচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.