ছয় কোটি টাকার গয়না লুট, চা কিনতে গিয়ে বিপদে পড়ল তিন চোর

ODD বাংলা ডেস্ক: চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ছয় কোটি টাকার গয়না লুট করে চম্পট দিয়েছিলেন তিন যুবক। লুটের পর ‘পেটিএম’-এর মাধ্যমে চা কিনতে যান তাদের একজন। আর অনলাইনে টাকা লেনদেনের সূত্রে ধরেই তিন চোরকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকায় ঘটেছে।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, চণ্ডীগড়ের একটি পার্সেল সংস্থায় কর্মরত সোমবীর নামে এক ডেলিভারি যুবক বুধবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে তার সহকর্মী জগদীপ সাইনির সঙ্গে পাহাড়গঞ্জের অফিস থেকে পার্সেল নিয়ে ডিবিজি রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। মিলেনিয়াম হোটেলের কাছে পৌঁছানোর পর তারা দেখেন যে, সেখানে দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরে আছেন।

এরপরই তাদের ব্যাগে তল্লাশি চালানো হবে বলে ঐ দুই যুবক সোমবীরদের পথ আটকান। ঘটনাস্থলে পৌঁছান আরো দুই যুবক। তার পরই সোমবীরদের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ব্যাগটি তাদের দিতে বলেন। ব্যাগটি না দিলে সোমবীরদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন অভিযুক্তরা। তারপর গয়না ভর্তি ঐ ব্যাগ কেড়ে নিয়ে চম্পট দেন যুবকরা।

এ ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হন সোমবীর। গত বুধবার এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়। গত কয়েকদিনে ৭০০টিরও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। দেখা গিয়েছে, একজন ক্যাব চালকের সঙ্গে অভিযুক্তরা কথা বলছেন। তাদের মধ্যে একজন চা কেনার জন্য ঐ চালকের অ্যাকাউন্টে পেটিএমের মাধ্যমে ১০০ টাকা দেন। আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরেই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, অভিযুক্তরা নজফগড়ের বাসিন্দা। লুটের পর তারা রাজস্থানে চলে যান। তাদের গ্রেফতার জয়পুর রওনা দেয় দিল্লি পুলিশের একটি দল। তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের কাছ থেকে ৬ হাজার ২৭০ গ্রাম সোনা, তিন কেজি রুপা, ১০৬টি হিরা ও অন্যান্য গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ছয় কোটি টাকা। গ্রেফতার তিন যুবক হলো- নাগেশ কুমার (২৮), শিবম (২৩) ও মণীশ কুমার (২২)। বাকি এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.