অদ্ভুত কারণে সব পুরুষেরই দুই বউ

ODD বাংলা ডেস্ক: হাতে হাত রেখে পরম ভালোবাসার বন্ধনে জীবন কাটিয়ে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়েই দু’জন বিয়ে করেন। বিশ্বে বেশিরভাগ দেশের মানুষ জীবনে একবারই বিয়ে করেন। তবে সংসার ভেঙে গেলে দ্বিতীয়বার বিয়ে দোষের কিছু নয়। তবে এমন কথা কি শুনেছেন কোনো একটি এলাকার সবাই দুই বিয়ে করেন। কী বিশ্বাস হচ্ছে না? বিশ্বাস না হলেও এমনটাই ঘটেছে ভারতের রাজস্থানে। ঐ গ্রামে এই রীতি প্রচলিত বহু দিন ধরে।
রাজস্থানের বাড়মের জেলার অন্তর্গত একটি ছোট গ্রাম। ঐ গ্রামটির নাম দেরাসর। দেরাসর গ্রামটিতে ৬০০ জনের বাস। গ্রামটি মূলত মুসলিম প্রভাবিত। রয়েছে কম বেশি ৭০টি পরিবার। তবে এই গ্রামেরই এক অদ্ভুত রীতি সারা দেশের কাছে একে পরিচিতি এনে দিয়েছে। দেরাসরের সব পুরুষের রয়েছে অন্তত দু’জন করে স্ত্রী। এই রীতির পেছনে রয়েছে এক অদ্ভুত কারণ।

এই গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, প্রথম স্ত্রী থেকে কোনো স্বামীরই সন্তান হবে না। সন্তানের মুখ দেখতে গেলে নাকি দ্বিতীয় বিয়ে করতেই হবে। এই অদ্ভুত বিশ্বাস থেকেই দ্বিতীয় বিয়ে করেন গ্রামের পুরুষরা। এমন রীতির সূত্রপাত অতীতের একটি ঘটনা থেকে। গ্রামের এক ব্যক্তির নাকি কিছুতেই সন্তান হচ্ছিল না। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতেই সন্তানলাভ করেন। এরপর যখনই এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতেন গ্রামের কোনো পুরুষ, তার দ্বিতীয় বিয়ে দেওয়া হত। আর তাতেই নাকি মিলত ফল। এভাবেই পুরুষের বহুবিবাহ গ্রামের রীতিতে পরিণত হয়।

আরো একটি কারণ রয়েছে এমন রীতির পেছনে। গ্রামে তীব্র পানি সংকট। এই গ্রামের নারীদের অন্তত পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে পরিবারের জন্য পানি আনতে হয়। অন্তঃসত্ত্বা হলে কোনো নারীর পক্ষেই হেঁটে পানি আনা সম্ভব নয়। সে কারণেও দ্বিতীয় বিয়ে করে থাকেন পুরুষেরা। সে ক্ষেত্রে প্রথমজনকে সেভাবে স্ত্রীর কোনো অধিকারই দেওয়া হয় না। তারা বরং বাড়ির পরিচারিকার মতো জীবন কাটিয়ে থাকেন। প্রথম স্ত্রীকে বলা হয় ‘জল স্ত্রী’।

সেখানকার রীতি অনুযায়ী প্রথম স্ত্রী সারা জীবনে সন্তানধারণের অধিকার পান না। স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেরও অধিকার নেই তাদের। কোনো পুরুষ যদি এই রীতির বিরোধিতা করেন তা হলে তার বিরুদ্ধে পুরো গ্রাম এক জোট হয়। এমনকি নিজের পরিবারও তাকে পরিত্যাগ করবে। গ্রাম থেকেই বিতাড়িত করা হয় তাকে। দ্বিতীয় স্ত্রীও যদি সন্তানধারণ না করে থাকেন সে ক্ষেত্রে স্বামীকে আরো একটি বিয়ে করতে হয়। তবে ঐ স্ত্রীর দায়িত্ব নিতে হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.