‘কেপ বাফেলো’ যেন এক সাক্ষাৎ যমদূত

ODD বাংলা ডেস্ক: পৃথিবীর ভয়ংকর প্রাণীদের মধ্যে ‘কেপ বাফেলো’ অন্যতম। মহিষের এই প্রজাতিটি মূলত আফ্রিকার তৃণভূমির এক অদ্ভুত প্রাণী। একটি কেপ মহিষের ওজন হতে পারে কয়েক টন পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এদের স্মৃতিশক্তি বেশ প্রখর। এই প্রাণীটি মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।

এদের মূল শক্তি হচ্ছে, শরীরের ওজন ও বদমেজাজ। যেমন তার ওজন, তেমন সে হিংস্রও। প্রথম দেখায় মনে হতে পারে, এরা খুব নিরীহ, তৃণভূমিতে ঘুরে বেড়ানো একটি সাধারণ প্রাণী মাত্র। কিন্তু এই বুনো মহিষটি আসলে সাক্ষাৎ যমদূত! এদের কেউ উত্যক্ত করলে তার আর রক্ষে নেই! 

এই মহিষ আফ্রিকার তৃণভূমিতে রাজত্ব করে। ওদের সবচেয়ে বেশি বিচরণ আফ্রিকায় পূর্ব অঞ্চলে।

বয়স্ক কেপ বাফেলোর শিংটি তার শক্তি প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। শিংটি যেন তার বিপদের ঢাল। বনের জীব-জন্তুকে মারার ক্ষেত্রে বা নিয়ন্ত্রণের অস্ত্রও এই শিং। এদের বড় শত্রু বনের সিংহ এবং বড়সব কুমির। সিংহ বা কুমিররা বড় মহিষগুলোকে সচরাচর আক্রমণ না করলেও বাচ্চা কেপদের আক্রমণ করে। আর বাচ্চাদের বাঁচাতে বয়স্ক মহিষরা যুদ্ধে লিপ্ত হয়।  

কেপ মহিষ খুব বেশি লম্বা নয়, এটি মাত্র ১৩০ থেকে ১৫০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। এদের দেহের তুলনায় পা অপেক্ষাকৃত ছোট। এদের শিংগুলো বেশ মোটা ও চওড়া হয়। কেপ মহিষের গায়ের রং কালো বা বাদামী। তবে অল্প বয়স্ক বাচ্চা কেপদের রং লালচে বাদামী হতে পারে। 

কেপ মহিষ প্রচুর ঘাস খায়। লম্বা ও মোটাসব বড় ঘাস ওরা সহজেই হজম করতে পারে। এদের মুখ খুব প্রশস্ত এবং সারি সারি কাটা দাঁত রয়েছে। দাঁত দিয়ে ঘাস কাটার আগে এরা জিহ্বা ব্যবহার করে। খাওয়ার ব্যাপারে সমস্ত বৈশিষ্ট্য যেন গরুর মতোই। যখন বনে ঘাসের অভাব হয়, তখন এই মহিষগুলো ছোট গাছের ডাল-পাতা খেয়ে ফেলে। দল বেধে এরা জলে নামে, তবে সাধারণ গরু বা মহিষের চেয়ে এ প্রজাতিটির স্নানের প্রবণতা কম। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.