Chanakya Niti-এই চারটি কর্মফল মানুষের জন্মের আগেই স্থির হয়, তাদের পরিবর্তন করা অসম্ভব
ODD বাংলা ডেস্ক: আচার্য চাণক্য বিশ্বাস করেন যে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ তার নিজের ভাগ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। একটি শিশু যখন মায়ের গর্ভে পৌঁছায়, তখন তার ভাগ্যের অধিকাংশই নির্ধারিত হয়। জন্মের পর কর্মফল অনুযায়ী মানুষকে সুখ-দুঃখ ভোগ করতে হয়।
যদি একজন ব্যক্তি তার জীবনে আচার্য চাণক্যের বাণী অনুসরণ করেন, তবে তিনি জীবনে কখনও ভুল করবেন না এবং সফল অবস্থানে পৌঁছাতে পারেন। আচার্য চাণক্যের নীতি অনুসারে, শিশু যখন মায়ের গর্ভে থাকে, তখন তার ভাগ্য নির্ধারিত হয়। আচার্য চাণক্য তার নীতি গ্রন্থে এ কথা উল্লেখ করেছেন। চাণক্যের মতে, জন্মের আগে প্রত্যেক শিশুর ভাগ্যে ৫টি জিনিস লেখা থাকে, যা কেউ চাইলেও পরিবর্তন করতে পারে না।
আচার্য চাণক্য বিশ্বাস করেন যে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ তার নিজের ভাগ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। একটি শিশু যখন মায়ের গর্ভে পৌঁছায়, তখন তার ভাগ্যের অধিকাংশই নির্ধারিত হয়। জন্মের পর কর্মফল অনুযায়ী মানুষকে সুখ-দুঃখ ভোগ করতে হয়। আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে জীবনের এই রহস্যের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে শ্লোকের মাধ্যমে বলেছেন যে জীবনের চারটি প্রধান বিষয় রয়েছে, যার সংকল্প জন্মের আগেই ঠিক হয়ে যায়। এগুলি এমন জিনিস যা একজন ব্যক্তি তার কর্মের শক্তিতেও পরিবর্তন করতে পারে না।
বয়সঃ কর্ম গ অর্থসিদ্ধি গ বিদ্যা নিম্মণেব গ.
পঞ্চৈতানি হি সৃজ্যন্তে গর্ভস্থস্যেব দেহিনঃ।
জন্ম এবং মৃত্যু
আচার্য চাণক্য বলেছেন একজন মানুষ কতটা জীবন পেয়েছে? এটা ছোট না দীর্ঘ হবে? ব্যক্তির জন্মের আগেই এর সিদ্ধান্ত হয়ে যায়। একজন ব্যক্তি কেবল তার কর্মের শক্তিতে এখানে বাস করে। যার জন্ম হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ে তার মৃত্যু হয়, কেউ তা পরিবর্তন করতে পারে না।
নিয়তি
আচার্য চাণক্য মানুষের কর্মফল সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, পৃথিবীতে জন্ম নেওয়ার পর মানুষকে তার কর্ম অনুসারে সুখ-দুঃখ ভোগ করতে হয়। এই কর্মফল শুধু বর্তমান থেকে নয়, পূর্বজন্ম থেকেও নির্ধারিত হয়। চাণক্য তার কর্মের ভিত্তিতে তার জীবনের দুঃখ-কষ্ট কমাতে পারে, কিন্তু দূর করতে পারে না। কারণ পূর্বজন্মে কৃত কর্মের ফল তাকে ভোগ করতে হয়।
অর্থ এবং জ্ঞান
আচার্য চাণক্য বলেন, মানুষ যে সম্পদ ও জ্ঞান লাভ করে তাও জন্মের আগেই নির্ধারিত হয়ে যায়। কারণ এই উভয় জিনিসের প্রাপ্তিও পূর্বজন্মের কর্মফল অনুসারে। একজন ব্যক্তি নির্ধারিত আমল অনুসারে এই দুটি জিনিসই পায়।
উল্লেখ্য, আচার্য চাণক্য শুধু একজন মহান পণ্ডিতই ছিলেন না, তিনি একজন ভালো শিক্ষকও ছিলেন। তিনি বিশ্ববিখ্যাত তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং সেখানে আচার্য পদে ছাত্রদের পথপ্রদর্শন করেন। তিনি একজন দক্ষ কূটনীতিবিদ, কৌশলবিদ এবং অর্থনীতিবিদও ছিলেন। আচার্য চাণক্য তার জীবনে অদ্ভুত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন কিন্তু কখনো হাল ছেড়ে দেননি এবং তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেননি।
Post a Comment