ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করার উপকার গুলি জেনে নিন


 

ODD বাংলা ডেস্ক: আমাদের মধ্যে অনেকেরই শীতের সময়ে ঠাণ্ডা জলের কারণে স্নান না করার প্রবণতা দেখা যায়। আবার অনেকেই গরম জল দিয়ে স্নান করে থাকেন। খুব হালকা পরিমাণে গরম জল মিশিয়ে স্নান করা ভালো। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে, ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করারও রয়েছে আশ্চর্য উপকারিতা। জেনে নিন ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করার উপকারিতা


ওজন কমাতে চাইলে


বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত হলে ঠান্ডা জলে স্নান করার অভ্যাস করুন। আপনি যদি নিয়মিত ঠান্ডা জলে স্নান করেন তবে সহজেই মেদ কমে যাবে। আবার যাদের শরীরে স্ট্রেচ মার্ক রয়েছে তাদের জন্যও এটি হতে পারে একটি উপকারী অভ্যাস।


সারাদিনের শক্তি


সারাদিন সতেজ ও ফুরফুরে থাকার জন্য ঠান্ডা জলে স্নান করা খুব জরুরি। কারণ এতে শরীরের শরীরের প্রদাহ ঠিক থাকে, যে কারণে টানা কাজ করেও আমাদের ক্লান্তি কম আসে। তাই দিনের শুরুতে ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান আপনি করতেই পারেন।


সক্রিয়তা বাড়াতে


মাথায় ঠান্ডা জল ঢাললে তা আপনার সক্রিয়তা বাড়াতে কাজ করে। যেকোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সহজ হয়। এতে মন ও চেতনা কাজ করে একসঙ্গে। ঠান্ডা জল আপনাকে নানাভাবে উপকৃত করবে।


দ্রুত সুস্থ হতে চাইলে


যারা প্রায় সময়েই নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য উপকারী অভ্যাস হতে পারে ঠান্ডা জলে স্নান করা। কারণ এই অভ্যাস দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে। নিয়মিত ঠান্ডা জলে স্নান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকে।


মেজাজ উন্নতি করতে পারে


কোল্ড হাইড্রোথেরাপির একটি অ্যান্টি-ডিপ্রেসিভ প্রভাব থাকে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলো দেখা যায় যে, ঠাণ্ডা জল ত্বকের ঠাণ্ডা রিসেপ্টরগুলোর মাধ্যমে মস্তিষ্কে বৈদ্যুতিক আবেগ পাঠাতে পারে এবং সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করতে পারে। এটি বিষণ্নতার উপসর্গও উপশম করতে পারে।


সহ্যক্ষমতা বাড়ে


নিয়মিত ঠান্ডা জলে স্নান করলে বাড়ে সহ্যক্ষমতা। এটি ব্যথা-বেদনা সহ্য করার শক্তিও বাড়ায়। সেইসঙ্গে পেশী এবং গাটের সংযোগস্থলে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। গরমের সময়ে গরম জলে স্নান করা মোটেও ভালো অভ্যাস নয়। কারণ এতে শরীর গরম হয়ে ও কষে যায়।


ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে


ঠান্ডা জলে ডুবকি লাগানোর সময় আমরা শ্বাস বন্ধ করে জলের তলায় যাই। যে মুহূর্তে শ্বাস ফুরিয়ে যায়, অমনি হাপুস হুপুস করে অক্সিজেন টেনে নেওয়ার প্রচেষ্টায় লেগে পরি। এমনটা করার সময় আমাদের ফসুফুসের কর্মক্ষমতা মারাত্মক বেড়ে যায়। তাহলে একবার ভাবুন, যারা রোজ গঙ্গা স্নান করছেন অথবা যাদের পুকুরে স্নান করার অভ্যাস রয়েছে, তাদের ফুসফুস কতটা কর্মক্ষম!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.