পিঁপড়ার কামড়ে মরতে পারে গরু, মাছের ঠোঁটে ‘লাল লিপিস্টিক’
ODD বাংলা ডেস্ক: দুনিয়াজুড়ে অদ্ভুতুড়ে খবরের অভাব নেই। কিন্তু মাঝে মধ্যে এমন কিছু বিষয় সামনে আসে, যা সত্যিই চমকে যাওয়ার মতো। সম্প্রতি অস্বাভাবিক লম্বা কানের একটি ছাগল আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নবজাতক শিশু ওই ছাগলের কানের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৯ ইঞ্চি (৪৬ সেমি)। অস্বাভাবিক লম্বা এই কানের জন্য বিশ্ব রেকর্ডধারী হিসাবে নাম অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ছাগল শাবকটির।
চলতি মাসে করাচিতে একটি ছাগলের জন্ম হয়। তবে এর নাম ‘ডাম্বো’ নয়। তার মালিক মুহাম্মদ হাসান নারেজো ভালোবেসে ছাগলটির নাম দিয়েছেন ‘সিম্বা’। ছাগলটির কানের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৯ ইঞ্চি। ছাগলটির মালিক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আজ পর্যন্ত কোনো ছাগলের নাম গিনেস্ বুকে ওঠেনি। কিন্তু আমার ইচ্ছা, সিম্বার নাম তাতে অন্তর্ভুক্ত হোক।’’
প্রচণ্ড তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে অ্যাংলো-নুবিয়ান প্রজাতির ছাগলের কানের দৈর্ঘ্য সাধারণত লম্বা হয়। তবে সিম্বার কান এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী। গবেষকরা জানিয়েছেন, জিনগত বৈচিত্রের জন্যেই সিম্বার কানের এত লম্বা দৈর্ঘ্য।
এ রকম আরও বিচিত্র প্রকৃতির জীবের খোঁজ মিলবে পৃথিবীর কোনায় কোনায়। কখনো সমুদ্রের গভীরে, কখনো বা জঙ্গলে। যেমন, ঠোঁটে লিপস্টওয়ালা মাছের খোঁজ মিলেছে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে গ্যালাপ্যাগোস দ্বীপপুঞ্জে। এই ব্যাটফিশকে দেখলে মনে হবে যেন ঠোঁটে লাল রঙের লিপস্টিক পরে রয়েছে। এটির নাম ‘রেড লিপড্ ব্যাটফিশ’। যদিও এই মাছ সাঁতার কাটতে অক্ষম। পেক্টোরাল পাখনার সাহায্যে সমুদ্রের গভীরেই হেঁটেচলে বেড়াতে দেখা যায় এদের।
‘পান্ডা অ্যান্ট’-এর নাম শুনে মনে হচ্ছে বিশালাকৃতির পিঁপড়া। কিন্তু আদতে তা নয়। পান্ডার গায়ে যেমন সাদা-কালো ছাপ রয়েছে, ঠিক সে রকমই ছাপ দেখা যায় পিঁপড়ার শরীরে। এই পিঁপড়ার কামড় এতটাই যন্ত্রণাদায়ক যে একে ‘গরু নিধনকারী’ বা ‘কাউ কিলার’-ও বলা হয়। মেক্সিকো, আমেরিকা, চিলির বিভিন্নপ্রান্তে ‘পান্ডা অ্যান্ট’ দেখা যায়।
জাপানে এমন এক জীবের সন্ধান মেলে যা দেখলে সহজে চিনতে পারবেন না এটি মাকড়সা না কাঁকড়া। এর নামও ‘জাপানিজ স্পাইডার ক্র্যাব’। দেশটির স্থানীয়রা একে খাদ্য হিসাবেও গ্রহণ করে থাকে। হোনসু দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ উপকূলে এটি বেশি সংখ্যায় দেখতে পাওয়া যায়।
ড্রাগনের অস্তিত্ব নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে। তবে ‘ব্লু ড্রাগন’-এর উপস্থিতি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এই ড্রাগনকে আকাশে উড়তে দেখা যায় না। বরং এর হদিস মেলে ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে। নীল রঙের এই সামুদ্রিক স্লাগটি দেখতে অবিকল ড্রাগনের মতো। পাকস্থলীর কাছে গ্যাসযুক্ত থলে থাকায় সমুদ্রের জলের ঠিক নীচেই এদের ভেসে থাকতে দেখা যায়।
ব্যাঙের শরীর কাচ দিয়ে তৈরি? দক্ষিণ আমেরিকায় এমন একটি ব্যাঙের প্রজাতি রয়েছে যাদের দেখলে মনে হবে, এদের দেহ চামড়ার বদলে কাচের আবরণ দিয়ে তৈরি। ‘গ্লাস ফ্রগ’ নামে পরিচিত এই ব্যাঙের পেটের দিকের চামড়া এতটাই পাতলা যে ভিতরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বাইরে থেকেই বোঝা যায়।
Post a Comment