মৃত্যু উপত্যকা-যেখানে নাম মাত্র বৃষ্টি হয় সেখানেই এবার বন্যা, কাদা জলের স্রোতে বিপদ বাড়ছে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: জলবায়ু পরিবার্তনের কারণ কিনা তা বলতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এক অসম্ভব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ভ্যালি ন্যাশানাল পার্ক। কারণ এখানে সম্প্রতি এতটাই বৃষ্টি হয়েছে উঁচু উঁচু মাটির ঢিপির ওপর দিয়ে জল পড়ছে ঝর্নার মত। 


জলবায়ু পরিবার্তনের কারণ কিনা তা বলতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এক অসম্ভব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ভ্যালি ন্যাশানাল পার্ক। কারণ এখানে সম্প্রতি এতটাই বৃষ্টি হয়েছে উঁচু উঁচু মাটির ঢিপির ওপর দিয়ে জল পড়ছে ঝর্নার মত। এই অঞ্চল বিশ্বের সবথেকে শুষ্ক ও উষ্ণতম স্থান হিসেবেই পরিচিত। 


ন্যাশানাল পার্ক কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে রীতিমত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মৃত্যুর উপত্যকায়।  তাতে পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, 'হ্যারিকেন K এর থেকে  যে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে তাতেই ডেথ ভ্যালি ন্যাশানাল পার্কের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। ' সেই সঙ্গে তারা একটি ভিডিও পোস্ট করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে বাডওয়াটার বেসিনের ধারে পাহাড় ধরে কাদাজলের জলপ্রপাত তৈরি হয়েছে। যা পার্কের ক্ষতি করতে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। 


নিউজ ইউকের খবর অনুযায়ী ক্যালিফোর্নিয়া নেভাদা সীমান্তে অহস্থিত ডেথ ভ্যালিকে বিশ্বের সবথেকে উষ্ণস্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমানে এর তাপমাত্রা ৫৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াল। যা বিশ্বের রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। 


এই অঞ্চলে সাধারণত বছরে ২.২ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়। যাইহোক ন্যাশানাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে যে ডেথভ্যালিকে অগাস্ট হ্যারিকেন k এর মাত্র তিন চতুর্থাংশ পেয়েছে ডেথভ্যালি। আর সেপ্টেম্বরে আরও কম পাবে। 


একটি বিবৃতি দিয়ে ন্যাশানাল পার্ক জানিয়েছে, বন্যার জলের কারণে ১৯০ নম্বর জাতীয় সড়ক, বাইরের রাস্তার একটি বিশেষ অংশ, টাউন পাসের কাছে একটি রাস্তার দুটি লেন ধ্বংস হয়ে গেছে। ঝড়ের মাত্র এক ঘণ্টা আগেই একটি সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছিল। পার্ক থেকে তড়িঘড়ি দর্শকদের সরিয়ে নেওয়া হয়। 


কর্মকর্তা জানিয়েছেন আকস্মিক বন্যা হয়ে যাওয়ায় বেশ কিছু গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পার্কের ভিতরে বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে যান চলাচল। জলবায়ু পরিবার্তনের কারণে  ঝড়, তাপপ্রবাহ, দাবানল, খরা, শিলাবৃষ্টির মত খারাপ আবহাওয়া বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও বাড়বে বলেও মনে করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।  


আন্টারটিকার থোয়াইটস হিমবাহের মধ্যেই পড়ে পরিচিত ডুমসডে হিমবাহটি। আগামী দিন বিশ্বব্যাপী বড় বিপর্যের কারণ হতে পারে। গুজরাটের মত বড় আকারের এই হিমবাহটি দ্রুত গলে যেতে শুরু করেছে। আর হিমবাহের এই আচরণ সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতাকে অনেরটাই বাড়িয়ে তুলতে পারে। আর তেমনটা হলে নিচু এলাকায় বন্যা অবধারিত। ডুমসডে হিমবাহের এই ভয়ঙ্কর পরিণতি হলে উপকূলীয় এলাকাগুলি জলের তলায় তলিয়ে যেতে পারে। যা একটি বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবে বিশ্বকে। কারণ সম্প্রতি সামনে এসেছে একটি গবেষণার রিপোর্ট। যেখানে দাবি করা হয়েছে পশ্চিম অ্য়ান্টারটিক হিমবাহ দ্রুত পিছিয়ে যাচ্ছে। আর্থাৎ গলে যাচ্ছে- যা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.