দুর্গাপুজোর সামগ্রী রাখতে মেনে চলুন বাস্তু মত, জেনে নিন কোন দিকে কী রাখা শুভ
ODD বাংলা ডেস্ক: এই কটা দিন সকলে নিষ্ঠার সঙ্গে মায়ের আরাধনা করে থাকেন। এবার পুজোর ছোটখাটো সব বিষয় খেয়াল রাখুন। দেবীর পুজোর সামগ্রী রাখুন সঠিক স্থানে। মেনে চলুন বাস্তু মত। জেনে নিন কোন দিকে পুজোর সামগ্রী রাখা উচিত।
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই মর্ত্যে আসছেন মা দুর্গা। হিন্দু ধর্মানুসারে তিনি হলেন সব থেকে জনপ্রিয় দেবী। সংস্কৃতে দুর্গা শব্দের অর্থ ‘একটি দুর্গ’ বা ‘এমন একটি স্থান যা অতিক্রম করা কঠিন’। কখনও দেবী দুর্গাকে দুর্গতিনাশিনী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যার আক্ষরিক অর্থ হল যিনি দুঃখ দূর করেন।
সারা বছর ধরে এই পাঁচটা দিনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন সকলে। জীবনের সকল দুঃখ ভুলে যেন আনন্দে মেতে ওঠার পালা। এই কটা দিন সকলে নিষ্ঠার সঙ্গে মায়ের আরাধনা করে থাকেন। এবার পুজোর ছোটখাটো সব বিষয় খেয়াল রাখুন। দেবীর পুজোর সামগ্রী রাখুন সঠিক স্থানে। মেনে চলুন বাস্তু মত। জেনে নিন কোন দিকে পুজোর সামগ্রী রাখা উচিত।
শাস্ত্র অনুসারে, পুজোর সমস্ত সামগ্রী মন্দিরর দক্ষিণ পূর্ব দিকে রাখা শুভ। পুজোর সামগ্রীর মধ্যে কর্পূর ও ঘি অন্যতম। এই দুই দ্রব্যও রাখুন দক্ষিণ পূর্ব দিকে। তেমনই পুজোর উপকরণ লাল কাপড়ে মুড়ে রাখুন। মা দুর্গা হলেন শক্তির দেবী। তাঁর পুজোয় পুঙ্খানুপুঙ্খ সব বিষয় নজরে রাখুন। অবশ্যই পুজোর সকল আসবাব রাখুন সঠিক স্থানে তেমনই তা লাল কাপড়ে মুড়ে রাখুন। লাল কাপড় শুভ বলে গণ্য করা হয়।
শাস্ত্রে পুজোর বাসন প্রসঙ্গে রয়েছে বিশেষ টোটকা। দুর্গাপুজোর বাসন হওয়া উচিত তামা ও পিতলের। তামা ও পিতলের বাসন ছাড়া পুজো অন্য কোনও ধাতুর তৈরি বাসন ব্যবহার করবেন না। তেমনই জলের পাত্র নিয়ে রয়েছে বিশেষ টোটকা। শাস্ত্র মতে, রুপোর পাত্রে জল রাখুন। এতে মিলবে উপকার। শাস্ত্র মতে, এই পদ্ধতিতেত পুজো করলে মায়ের কৃপা বর্ষিত হবে আপনার ওপর।
তেমনই দেবী মূর্তি স্থাপনেও বিশেষ নিয়ম মেনে চলুন। পুজোর সময় দেবী মূর্তি কাঠের চৌকি কিংবা আসনের ওপর স্থাপন করুন। যেখানে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে সেখানে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন। শাস্ত্র মতে, চন্দন কিংবা আম কাঠ দিয়ে তৈরি চৌকি-তেই মূর্তি স্থাপন করবেন। যে কোনও কাঠের ওপর মূর্তি রাখা যায় না। সঠিক নিয়ম মেনে পুজো করলে মিলবে মায়ের কৃপা। তাই এবছর অবশ্যই দুর্গাপুজোর সামগ্রী রাখতে মেনে চলুন বাস্তু মত। সঠিক নিয়ম মেনে পুজো করলে মিলবে দেবীর কৃপা।
Post a Comment