ভারতের গৌতম আদানি একদিনে আয় করেছেন ২০৮৯ কোটি টাকা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আর্থিক উন্নতিতে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকেও পেছনে ফেলেছেন ভারতের ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানি। সারা বিশ্বের ধনীদের তালিকায় প্রথম এলন মাস্ক, আর তার পরেই দ্বিতীয় নাম গৌতম আদানি। হিসেব অনুযায়ী, গত এক বছরে প্রত্যেকটা দিন তার সম্পদে বৃদ্ধি হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ, পুরো একটা বছরে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে তার অর্থ।

২১ সেপ্টেম্বর, বুধবার প্রকাশিত ‘আইআইএফএল ওয়েলথ হুরুন ইন্ডিয়া ২০২২-এর রিচ লিস্ট’ অনুযায়ী তিনি এক বছরে ৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছেন। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে গৌতম আদানিই বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি। বর্তমানে তার চেয়ে ধনী ব্যক্তি ‘টেসলা’ প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক, যার মোট সম্পদ ২৭৩.৫ বিলিয়ন ডলার।  গৌতম আদানির মোট সম্পদ বর্তমানে ১৪,১৩,৪৯৫ কোটি টাকা। 


গত পাঁচ বছরে অধিগ্রহণ ও নতুন ব্যবসার কারণে গৌতম আদানির সম্পত্তি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট ১৪৪০ শতাংশ সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে তার। আদানি গ্রুপের ৭টি তালিকাভুক্ত সংস্থার শেয়ারগুলিতে বিশাল অঙ্কের লাভের কারণে আদানি গ্রুপের মার্কেট ক্যাপিটাল অসাধারণ গতি লাভ করেছে। গত এক বছরে গৌতম আদানির সম্পদে ৭,৬২,৮৭৭ কোটি টাকা যোগ হয়েছে। 


সম্প্রতি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট উৎপাদক এসিসি ও অম্বুজাকে অধিগ্রহণ করেছে আদানি গোষ্ঠী। এটিকেই এবার দেশের সর্বোচ্চে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছেন গৌতম আদানি। গবেষকদের মতে, অম্বুজা সিমেন্ট ও দুদক কোম্পানি কিনে ভারতের দ্বিতীয় প্রধান উৎপাদনশীল গ্রুপে পরিণত হয়েছে গৌতম আদানির কোম্পানি। বর্তমানে গৌতম আদানিই একমাত্র ভারতীয়, যার সাতটি সংস্থার মার্কেট ক্যাপিটাল এক লাখ কোটি টাকারও বেশি। 


আদানির চেয়ে ধনীদের তালিকায় এবার অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। বর্তমানে তার মোট সম্পদ আদানির তুলনায় অনেকটাই কম। এখন তার নেট ওয়ার্থ ৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্পত্তির দৌড়ে ফরাসি শিল্পপতি বার্নার্ড আর্নল্টকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন আদানি। ২০১৮ সালের অষ্টম স্থান থেকে বর্তমানে এক নম্বর স্থানে উঠে এসেছেন গৌতম আদানি। তার সম্পদ বেড়েছে ১৫.৪ গুণ। অন্যদিকে তার ভাই বিনোদ আদানি ৪৯তম স্থান থেকে উঠে এসেছেন ষষ্ঠ স্থানে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.