জেসমিন চায়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: জেসমিন চা বেশ জনপ্রিয় পানীয়। চা পাতা ও জেসমিন ফুলের যৌথতায় জেসমিন চা তৈরি হয়। জেসমিন ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে অনেকের। মিষ্টি গন্ধ। তাই জেসমিন চায়ের ফ্লেভার ও মিষ্টি গন্ধে মন মাতাতে চান অনেকেই। জেসমিন চা গরম বা ঠাণ্ডা খেতে পারেন।


ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে জেসমিন চায়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। আসুন, সে সম্পর্কে জেনে নিই—


ওজন কমাতে


মেটাবলিজম বা বিপাক বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে জেসমিন চা। এতে রয়েছে ফ্যাট বার্নিং উপাদান ক্যাফেইন ও পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এপিগ্যালোকোটিন গ্যালেট (ইজিসিজি)। জেসমিন চা পান করলে তা ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।


মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়


জেসমিন চায়ে রয়েছে ক্যাফেইন ও এল-থ্যানাইন, যা ব্রেইন ফাংশন কার্যকরে সহায়তা করে। ক্যাফেইন মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়ায়। এতে থাকা উপাদানসমূহ স্বস্তি দেয় এবং চাপ কমায়।


হার্ট সুস্থ রাখে


জেসমিনে রয়েছে উচ্চমাত্রায় পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল থেকে রক্ষা করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। নিয়মিত জেসমিন চা পান করলে হার্ট ডিজিজ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।


ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়


জেসমিন চায়ে থাকা ইজিসিজি টাইপ টু ডায়াবেটিসের হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। ইজিসিজি ইনসুলিনকে আরো কার্যকর করে এবং ব্লাড সুগারের মাত্রা কমায়। ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।


ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়


জেসমিন চায়ে রয়েছে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করে। টেস্টটিউব ও প্রাণী গবেষণায় দেখা গেছে, ইজিসিজির মতো পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের কোষ ছড়ানোর হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে মানুষের ক্ষেত্রে আরো বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন।


ত্বকের স্বাস্থ্যে


জেসমিন চায়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের স্বাস্থ্যে উপকারী। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যালস দূর করে বয়সের ছাপ পড়া থেকে মুক্তি দেয়। এ ছাড়া ত্বকের বলিরেখা থেকে রক্ষা করে।


জেসমিন চায়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া


আমেরিকান ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, জেসমিন সাধারণত নিরাপদ বলে বিবেচিত। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। গর্ভবতী নারী ও নবজাতকের মায়েদের উচিত জেসমিন চা পানের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.