থিম পুজোর চমক নয়, খিদিরপুর যুবশক্তির দুর্গোৎসবের এবছরের প্রধান আকর্ষণ দেবীর নয় রূপ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কোথাও তুলে ধরা হয় বিলুপ্ত হয়ে চলা কোনও বিষয় তো কোথাও কোনও ঐতিহাসিক মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয় পুজো প্যান্ডেল। তবে, এই সব কিছুকে উপেক্ষা করে শুধু দেবী আরাধনাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন খিদিরপুর যুবশক্তির দুর্গোৎসব। 


শহর তিলোত্তমায় থিম পুজোর চল শুরু হয়েছে বিগত বেশ কয় বছর ধরে। মণ্ডপসজ্জা থেকে দেবী মূর্তি- সর্বত্র চমক আনতে জোড় কদমে পরিশ্রম করে চলেছেন শিল্পীরা। প্যান্ডেল সজ্জা, আলোক সজ্জা, দেবী প্রতিমা- সর্বত্র নতুনত্বের ছোঁয়া রাখাই থাকে এই সকল পুজোর উদ্দেশ্য। কোনও একটি বিশেষ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয় পুজো প্যান্ডেল। কোথাও তুলে ধরা হয় বিলুপ্ত হয়ে চলা কোনও বিষয় তো কোথাও কোনও ঐতিহাসিক মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয় পুজো প্যান্ডেল। তবে, এই সব কিছুকে উপেক্ষা করে শুধু দেবী আরাধনাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন খিদিরপুর যুবশক্তির দুর্গোৎসব। 


মহালয়া থেকে শুরু হয় এখানে পুজো। দেবী আরাধনার সকল পুঙ্খানুপুঙ্খ নিয়ম মেনে পুজো করা হয় এই স্থানে। খিদিরপুর অঞ্চলে বাঙালিদের বসবাস তুলনা মূলক কম। সে কারণে দুর্গোৎসবের সময় অনেকে নিজের বাড়িতেই ঘরোয়া করে পুজো করেন। আবার অনেকে কোথায় পুজো দেবেন তা ভেবে কুল পান না। স্থানীয়দের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে খিদিরপুর যুবশক্তির দুর্গাপুজোর কমিটি এবছর নবদুর্গা-র পুজো করবেন বলে স্থির করেছেন। কোনও বাড়তি চাকচিক্য নয়, প্যান্ডেল সজ্জায় অতিরজ্ঞিত কিছু নয়। এখানে মায়ের পুজোয় জোড় দেওয়া হবে বিশেষ করে। এমনই জানান, খিদিরপুর যুবশক্তির দুর্গোৎসব কমিটির সদস্য সোমনাথ গায়েন। 


এবছরে তাদের থিম নবদুর্গা। এই পুজো প্যান্ডেলে দেবীর নয়টি রূপের দর্শন মিলবে। গত তিন বছর ধরে এমন নবদুর্গা থিমেই পুজো করে আসছে এই পুজো কমিটি। গত বছর প্রায় ১০ থেকে ১২টি পুরষ্কার পেয়েছিলেন তারা। প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা বাজেটের খিদিরপুর যুবশক্তির দুর্গোৎসবের এবছরেরও থিম নবদুর্গা। এরই সঙ্গে প্রতি বছর এক বিশেষ সমাজসেবা মূলক কাজে অংশ নেন তারা। 


প্রতি বছর শহরের এক বৃদ্ধাশ্রমের সকল সদস্যেদের ঠাকুর দেখার ব্যবস্থা করেন খিদিরপুর যুবশক্তি দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরা। পঞ্চমী কিংবা ষষ্ঠী নাগাদ একদিন এই আশ্রমের সকল সদস্যকে শহরের সব বড় বড় ঠাকুর দেখান তারা। সঙ্গে বস্ত্র উপহার দেন এছাড়া খাবার ব্যবস্থা তো থাকেই। এর সঙ্গে প্রতি বছর রক্তদান শিবির ও বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা কেন্দ্রের আয়োজন করা হয়। এমন ভাবেই অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন খিদিরপুর যুবশক্তির দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরা। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.