চিনে নিন ট্রান্সজেন্ডারদের প্রথম বিউটি কনটেস্ট বিজেতা নীতাশা বিশ্বাস-কে


ODD বাংলা ডেস্ক: মাত্র ৬ বছর বয়সে তিনি মাকে হারান,মা পাশে থাকলে হয়তো লড়াইটা আর একটু সহজ হতো, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার খেতাব জয়ের পর এমনটাই জানালেন ট্রান্সজেন্ডারদের প্রথম বিউটি কনটেস্ট-এর বিজয়ী নীতাশা বিশ্বাস। নীতাশা বলেন,  বাবার অসুস্থ হওয়ার পর তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সময় তিনি রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছিলেন। তখন সবাই তাঁকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, 'আমাকে অনেকটা মায়ের মতো লাগছে'। পরিবারে তাঁর গ্রহণ যোগ্যতা তারপর থেকে বেড়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকজন বন্ধুদের সঙ্গে একটি পার্টিতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু যখন তারা জানতে পারল, আমি ট্রান্স মহিলা, আমার সঙ্গে যেতে অস্বীকার করেন।’ রূপান্তরের পরেও কর্মক্ষেত্রে নীতাশা বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন। সাধারণ মানুষে যখন জানতে পারেন তিনি একজন ট্রান্স মহিলা, কয়েক মুহূর্তের জন্য ব্যবহার পরিবর্তন হয়ে যায়। 

আবেগঘন নীতাশা জানিয়ছেন, রূপান্তরের পর্বটি অত্যন্ত জটিল ছিল। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতি আরও জটিল করে দিয়েছিল সমাজ। পাশাপাশি তিনি বলেন, তুমুল অস্থিরতার মধ্যে কেটেছে তাঁর ছোটবেলা। সেসময় নিজেকে খুব অসহায় মনে হত। 

নিজের কথা বাবাকে বলার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে যায়। তিনি বলেন, বাধ্য হয়ে কলকাতা ছেড়ে দিল্লিতে চলে আসেন। কলকাতায় থাকাকালীন, তিনি নিজের কথা প্রথমে ভাইকে বলেছিলেন। কিন্তু ভাই তাঁকে মেনে নিতে পারেননি। 

সবশেষে তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডারদের সমাজে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার লড়াই এমনিতেই খুব কঠিন। সেই লড়াই আরও কঠিন হয়ে যায়, যখন পরিবার পাশে থাকে না। স্কুল, কলেজ, প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁকে একাধিকবার হেনস্তার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এমন কিছু তাঁকে জোর করে করানো হয়েছে, তা তিনি প্রকাশ্যে বলতে পারেননি। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.