কোন বয়সে বিয়ে করলে দীর্ঘায়ু হন পুরুষেরা

ODD বাংলা ডেস্ক: অনেকেই বলেন, ছেলেদের একটু দেরি করে বিয়ে করা ভালো। তাহলে ছেলেরা নিজের জীবনটা একটু গুছিয়ে নিতে পারবে। চাকরি কিংবা ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারবে। আবার কেউ বলে বিয়ের বয়স হয়ে গেল। বেশি দেরি করলে পেরিয়ে যাবে বয়স। কারও মতে বিয়ের আদৌ নির্দিষ্ট কোনো বয়স হয় না। এ নিয়ে চর্চা চলতেই থাকে। কেউ বিয়ে করেন ২৫-এ। আবার দেখা যায় ৪০-পেরিয়ে গেলেও মনের মতো সঙ্গী না পেয়ে অবিবাহিত থেকে যান।

এই প্রজন্মের অধিকাংশেই কর্মজীবন নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকেন, যে বিয়ে নিয়ে আলাদা করে কোনো পরিকল্পনা করার অবকাশ সব সময় মেলে না। ভারতে অবশ্য পুরুষের ক্ষেত্রে ২১ এবং নারীর ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স ১৮ বছর আইনত নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, একটি নির্দিষ্ট বয়সে বিয়ে করলে পুরুষেরা পেতে পারেন দীর্ঘায়ু।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি সমীক্ষা এমনই তথ্য দিচ্ছে। আমেরিকার বাসিন্দা প্রায় এক লাখ বিবাহিত পুরুষের মধ্যে এই সমীক্ষাটি চালানো হয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বয়স ৮০ ছুঁইছুঁই এমন বিবাহিত পুরুষেরাও সুস্থ-সবল আছেন। 

৮০ পার করেছে এমন কয়েকজনও যথেষ্ট সুস্থ অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। তারা প্রত্যেকেই ২৫ থেকে ২৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন। বিয়ে মানে নতুন জীবন। বড় দায়িত্ব। গবেষকরা বলছেন, তাই সেই দায়িত্ব ভার তরুণ থাকাকালীন নিলে মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কম থাকে। তারুণ্যের উদ্যম নিয়ে নতুন জীবন শুরু করা যায়। 

এই বয়সে বিভিন্ন চিন্তা এসে মাথায় ততটাও ভিড় করতে শুরু করে না। গবেষকরদের মতে, বিয়ের মতো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ বয়স কম থাকতেই সেরে ফেলা ভালো। এতে মন ও মাথায় বাড়তি চাপ পড়ে না। ফলে মানসিক চাপ মুক্ত থাকলে শরীরেও তার প্রভাব পড়ে। দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.