চোখ ভালো রাখতে গরম দুধে এক চামচ মধু, ম্যাজিকের মত কাজ দেবে!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বিয়ের পর সবার জীবনেই শারীরিক এবং মানসিক নানা পরিবর্তন আসে। এক পরিবেশ থেকে অন্য পরিবেশে যাওয়া, অন্যরকম জীবনযাত্রা, খাদ্যাভাসে পরিবর্তন বহুকিছুই দায়ী। এছাড়াও দীর্ঘদিন পর দুজনেরই যখন ঠিকানা বদল হয় তখন একটা মানসিক পরিবর্তনও আসে। মূলত হরমোনের পরিবর্তনই এর পেছনে দায়ী। তবে শরীর ফিট রাখতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। বিবাহিত জীবন উপভোগ করার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও তো নিত্য হাজিরা প্রয়োজন। কারণ শরীর ভালো না থাকলে নিজেদের মধ্যে ঠিক বোঝাপড়া থাকবে না। তাতে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও তার প্রভাব পড়ে শারীরিক সম্পর্কেও। তাহলে কী কী রাখবেন আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।


ডিম- শরীরেরদুর্বলতা, ক্লান্তি দূর করতে ডিমের জুড়ি নেই। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম অবশ্যই রাখবেন। পারলে ডিম সেদ্ধ করে খান।


দুধ- সকলেই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চান। অনেকেই মনে করেন দুধ মোটেই শরীরের পক্ষে ভালো নয়। কিন্তু মাখন তোলা দুধ খান, প্রতিদিন। এতে প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন থাকে।মধু- সকালে গরম জলের সঙ্গে পাতিলেবুর রস আর মধু খান। এতে ত্বকও ভালো থাকবে।


রসুন- রসুন ক্লান্তি দূর করে। যৌন উদ্দীপনা ধরে রাখে। এছাড়াও শরীরে রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখে।

কফি- কফির মধ্যে থাকা ক্যাফাইন শারীরিক মিলনের ইচ্ছা জাগায়। তাই কফি অবশ্যই খান। ব্ল্যাক কফি খেতে পারলে আরও ভালো।


চকোলেট- চকোলেট মানেই ভালোবাসা। আর প্রেম ও সেক্সের সঙ্গে চকোলেটের অন্য সম্পর্ক রয়েছে। তাই চকোলেট খান এবং ভালোবেসে খান।


কলা- কলার রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম মানবদেহের যৌনরস উৎপাদন বাড়ায়। আর কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও। যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতেও সহায়ক। আর সর্বোপরি কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে দীর্ঘসময় ধরে দৈহিক মিলনে লিপ্ত হলেও আপনার ক্লান্তি আসবে না।দুধে মধু মিশিয়ে খেলে যা যা উপকার পাবেন_


চোখ ভালো থাকবে: মধুর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিফাংগাল যা যে কোনও রকম ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও দুধে আছে ভিটামিন ডি, এ। আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম। ফলে যখন এই দুই উপাদান মিশে যাচ্ছে তখন তা যেমন দৃষ্টিশক্তি ভালো করে তেমনই চোখের পেশির কার্যক্ষমতা বাড়ায়। চোখের জন্য বেশ কিছু ওষুধেও ব্যবহার করা হয় মধু।


মানসিক চাপ কমায়:গরম দুধ আর মধু একসঙ্গে খেলে তা স্নায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। ফলে পেশির ক্লান্তি দূর হয়। মানসিক চাপ কমে। হজম ভালো হয়। যেখান থেকে ভালো ঘুম হয়।


ঘুম ভালো করে: গরম দুধে মধু মিশিয়ে যদি প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে খাওয়া যায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। পেট পরিষ্কার থাকে। যাঁরা গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা যদি প্রতিদিন এই গরম দুধ খান তাহলে উপকার পাবেন। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যাঁদের দুধে সমস্যা আছে তাঁরা এড়িয়ে চলুন।


শক্তি বাড়য়ঃ মধু আর দুধ এমনিই প্রচুর এনার্জি দেয়। কাজেই যখন দুটো একসঙ্গে মিশছে তখন যে তার ফল দ্বিগুণ হবে তা বলার অপেক্ষা থাকে না। সকালে অর্থাৎ প্রাতরাশের পর এক গ্লাস খেলে সারাদিন এনার্জি থাকবে তুঙ্গে।


পেটের যে কোনও সংক্রমণে: অনেকেই আছেন যাঁরা ক্রনিক পেটের সমস্যায় ভোগেন। গ্যাস, অম্বল, পেটখারাপ অনেকের লেগেই থাকে। এছাড়াও হজমের সমস্যা তো থাকেই। আর মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাকস্থলীর সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে।


মনযোগ বাড়ায়:একটানা ঘরে বসে কাজ করার ফলে সকলেরই নানা রকম সমস্যা আসছে। বিশেষত মানসিক। কাজে আসছে একঘেঁয়েমি। যার ফলে মস্তিষ্কেও তার প্রভাব পড়ছে। নষ্ট হচ্ছে মনযোগ। যে কারণে মধু আর দুধ খুব উপকারী। মধু মস্তিষ্কে ভালো প্রভাব ফেলে আর দুধ মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ঠিক থাকে। সব মিলিয়ে মনসংযোগের ঘাটতি পূরণ হয়। মন মেজাজ ভালো থাকে। কাজে গতি আসে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.