খোলা চুল অমঙ্গলের প্রতীক, বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে এই অভ্যাস!



ODD বাংলা ডেস্ক:  আধুনিক কায়দায় চুল কাটিয়ে তা খোলা রাখা এখন ফ্যাশান। সমস্ত বয়সের মহিলারাই তা করে থাকেন। কিন্তু প্রাচীন কালে মেয়েদের চুল খোলা রাখাকে ভালো মনে করা হত না। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী মহিলাদের নিজের চুল খোলা রাখা উচিত নয়। কিন্তু কেন এমন নিষেধাজ্ঞা? জেনে নেওয়া যাক।


খোলা চুল অমঙ্গলের প্রতীক


প্রাচীন কাল থেকে মনে করা হয়ে আসছে যে খোলা চুল অমঙ্গলের প্রতীক। ভারতে মহিলাদের জন্য কেশ বিন্যাস অত্যন্ত জরুরি। জট পাকানো, এলোমেলো চুলকে অমঙ্গলের ধারক ও বাহক মনে করা হয়। শাস্ত্র মতে কৈকেয়ী কোপভবনে এলোমেলো চুলে কান্নাকাটি করেছিলেন বলে অযোধ্যার অমঙ্গল হয়েছিল। এ-ও মনে করা হয় যে দ্রৌপদী নিজের চুল খোলা রাখার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বলে, কৌরব ও পাণ্ডব বংশের নাশ হয়।


আচরণ ও মনকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করে খোলা চুল


কথিত আছে যে, খোলা চুল রাখলে মহিলাদের চিন্তাভাবনা ও আচরণ স্বচ্ছন্দ হতে শুরু করে, তাঁরা পুরুষদের মতো আচরণ করতে শেখেন। শুধু মহিলারাই নয়। পুরুষদের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। যে পুরুষরা বড় বড় ও খোলা চুল রাখেন, তাঁদের মানসি পরিস্থিতিতে পরিবর্তন দেখা যায় বলে মনে করা হয়।


তন্ত্র ক্রিয়া


প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী চুলের সাহায্যে একাধিক তন্ত্র ক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। চুল খোলা রাখলে তার সাহায্যে কেউ সেই মহিলা ও সমগ্র পরিবারের অনিষ্ট করতে পারে বলে মনে করা হয়। তাই মহিলাদের চুল বেঁধে ও ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া। উল্লেখ্য তন্ত্র সাধনার উল্লেখযোগ্য সামগ্রী হল চুল। তাই অমাবস্যা, কালী পুজো, অম্বুবাচী-সহ বিভিন্ন পূজার্চনায় মহিলাদের চুল বেঁধে রাখতে বলা হয়।


প্রেতবাধা


সামাজিক বিশ্বাস অনুযায়ী মহিলারা খোলা চুলে কোনও নির্জন বা অশুদ্ধ স্থান অতিক্রম করলে তাঁদের ওপর অশুভ শক্তির প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। মনে করা হয় যে, খোলা চুল অশুভ শক্তকে আাকৃষ্ট করে।


উল্লেখ্য, রামায়ণে, রাম ও সীতার বিবাহের সময়, সীতার মা সুনয়না সীতাকে উপদেশ দেন। তিনি বলেন যে, 'বিয়ের পর সবসময় চুল বেঁধে রাখবে। কারণ সৌভাগ্যবতী স্ত্রীর চুল সম্মানের প্রতীক। বেঁধে রাখা লম্বা চুল অলঙ্কার ও শৃঙ্গার হওয়ার পাশাপাশি সংস্কার ও মর্যাদায় থাকতে শেখায়।'

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.