মহালয়ার ৭দিন আগেই শুরু হয় পুজো, জানুন খন্ডঘোষের শঙ্করীমাতার কাহিনি


ODD বাংলা ডেস্ক: সন্ধিপুজোয় মন্দির চত্বরে কেবলই মানুষের মাথা। তার মধ্যেই পাতা হয় তামি। তাতে জলঘড়ি দেখে গোনা হয় পল। এভাবেই পুজো চলে আসছে পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের শাঁকারি গ্রামে। এই গ্রামে পুজো ১৫ দিনের। ১৫দিন আগে কষ্টি পাথরের শঙ্করী মাকে স্নান করিয়ে পুজো শুরু হয়। মহালয়ার সাত দিন আগে পুজো শুরু হয়। চলে দশমী পর্যন্ত। মায়ের মূর্তি নিয়ে যাওয়া হয় বোস পুকুরের পাড়ে। সেখানে অষ্টকলসের জলে সহস্র ধারায় মাকে স্নান করিয়ে ঘট তুলে কলাবউ-সহ মাকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রায় ৪০০ বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে।

এখানে অধিষ্ঠাত্রী দেবী শঙ্করীর নামেই গ্রামের এই নাম। শঙ্করীর মূর্তি কালো, কষ্টি পাথরের। ইতিহাসবিদদের মতে, এই মূর্তি ষষ্ঠ শতকের। গ্রামের পাশে দেবখালে চারশো বছর আগে মূর্তিটি পাওয়া যায়। 

লোককথা অনুযায়ী, একদিন স্বপ্নাদেশ পান গ্রামের বাসিন্দা রাঘব রায়। তাঁকে স্বপ্নে পুজো শুরুর নির্দেশ দেন মা। স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবখালের তীরে এই মূর্তির দেখা পান রাঘব রায়। গ্রামে এনে প্রতিষ্ঠার জন্য খোঁড়া হয় পুকুর। সেই পুকুরের মাটি ফেলে উঁচু করে তার উপর প্রতিষ্ঠা করা হয় মাকে। সেখানেই এখন তৈরি করা হয়েছে শঙ্করী মাতার স্থায়ী মন্দির। আগে এই মন্দির ছিল না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.