বিহারে ছাতু-কে শক্তির পাওয়ার ব্যাঙ্ক বলা হয়, জেনে নিন এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ



 ODD বাংলা ডেস্ক: গ্রীষ্মে ছাতুর ব্যবহার শরীর ঠান্ডা রাখে ও ​​তাপ দূরে রাখে। আজকাল ছাতু অনেক সংখ্যক মানুষের খাদ্যের অংশ। এটি অনেক উপায়ে ব্যবহার করুন।

 

শুধু ইউপি-বিহারে নয়, সারা দেশ জুড়ে ছাতু খুব জনপ্রিয়। কেউ কেউ এর মাখা বানিয়ে ছাতু খেতে পছন্দ করেন, আবার কেউ কেউ শরবত বানিয়ে পান করেন। অনেকেই এর গন্ধ খুব পছন্দ করেন। গ্রীষ্মে ছাতুর ব্যবহার শরীর ঠান্ডা রাখে ও ​​তাপ দূরে রাখে। আজকাল ছাতু অনেক সংখ্যক মানুষের খাদ্যের অংশ। এটি অনেক উপায়ে ব্যবহার করুন।

 আজ আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিহারের এই বিশেষ খাদ্যের, ইতিহাস এবং এর উপকারিতা।

 ছাতুর ইতিহাস-

ছাতুর ইতিহাস নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে। কথিত আছে যে এর উৎপত্তি তিব্বত থেকে। সেখানে বসবাসরত বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা জ্ঞানের সন্ধানে দূর দেশে যেতেন, তাই তারা ছাতু খেতেন। সেই লোকেরা একে সাম্পা বলে। মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনেও ছাতু (যবের ছাতু) উল্লেখ করা হয়েছে। এমনও বলা হয় যে কার্গিল যুদ্ধেও সৈন্যদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে ছাতুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এছাড়াও অনেক লেখক এও লিখেছেন যে বীর শিবাজিও গেরিলা যুদ্ধের সময় তার সেনাবাহিনীর সৈন্যদের খেতে ছাতু দিয়েছিলেন।


সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ছাতু-

প্রথমে ছোলা ডাল মিক্সারে পিষে চিনি দিয়ে ছেঁকে নিন। এরপর ঘি সামান্য গরম করে বেসন ডাল ও চিনির মিশ্রণে মেশান। এলাচ পিষে একই মিশ্রণে যোগ করুন।

এবার এই মিশ্রণটি হাত দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটি প্লেটে ছোট আকারে সংরক্ষণ করুন। এর ওপর সিলভার ওয়ার্ক লাগিয়ে মাঝখানে কালো গোলমরিচ, বাদাম ও পেস্তা দিয়ে সাজিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে অতিথিদের পরিবেশন করুন। এছাড়া আপনি চাইলে জলে গুলে শরবতের মতো বানিয়েও পান করতে পারেন।


ছাতু খাওয়ার উপকারিতা-

ছাতু খেলে হিটস্ট্রোক হয় না। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে।

এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি রয়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ পুষ্টিকর খাদ্য।

অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা চলে যায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং স্থূলতা কমে।

ডাক্তাররাও ডায়াবেটিক রোগীদের ছাতু খাওয়ার পরামর্শ দেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.