আজব চোখে এই নারী দেখতে পান ১০ কোটি রং!

ODD বাংলা ডেস্ক: পৃথিবীতে সব মানুষ একই রকম হয় না। শরীরের গঠন, গড়ন, স্বভাবগত বা গুণের বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে একেক জন একেক রকম। এরমধ্যেই কিছু মানুষ রয়েছে যারা বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছেন। যাদের মধ্যে এক্সট্রা পাওয়ার থাকে। যার মাধ্যমে তারা বিশেষ কিছু উপলব্ধি করতে পারেন। এমনই একজন হলেন কনসেটা অ্যান্টিকো।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান দিয়েগো শহরের বাসিন্দা কনসেটা অ্যান্টিকো। যিনি বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি নিজের চোখ দিয়ে প্রকৃতির ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি রং দেখতে পারেন। সেই রং তিনি  চিনতে পারেন। যা খালি চোখে কোনো সাধারণ মানুষের জন্য অসম্ভব।

দ্য গার্ডিয়ান প্রতিবেদনে জানায়, কনসেটা অ্যান্টিকোর এই গুণের কথা প্রমাণ মেলে এক গবেষণায়। কোটি রঙের উপলব্ধি ছোটবেলা থেকেই ছিল। কিন্তু  গবেষণার পর বিশেষ চোখের কথা জানতে পারেন তিনি।

গবেষকরা বলেন, বিশ্বে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ এই বিশেষ চোখের অধিকারী হন। এই চোখকে বিজ্ঞানের ভাষায় টেট্রাক্রোমেট বলে। কনসেটার চোখও তেমনই। এ ধরণের চোখে ৩টি নয়, বরং ৪টি কোণ রয়েছে। চোখের এক কোণে এক কোটিরও বেশি রং চেনা যায়। আর চার-কোণ টেট্রাক্রোমেট চোখের ১০০ মিলিয়ন রং চেনার ক্ষমতা থাকে।

কনসেটা অ্যান্টিকো জানান, অল্প বয়স থেকেই অনেক রং দেখতে পান। সেই রং ক্যানভাসেও তুলে ধরেছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, এই চোখ যাদের রয়েছে তাদের সন্তানের বর্ণান্ধতা দেখা দিতে পারে। অ্যান্টিকোর মেয়ের মধ্যেও বর্ণান্ধতা ধরা পড়ে। পরে এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা দেখতে থাকেন। সেই সময়ই ২০১২ সালের করা ট্রাক্রোমেট চোখ নিয়ে একটি গবেষণায় নজর পড়ে তার। সেখান থেকেই নিজের বিশেষ এই ক্ষমতার কথা জানতে পারেন অ্যান্টিকো।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কিম্বারলি জেমসন বলেছেন, বিশ্বে ১৫ শতাংশ নারীদের মধ্যে বিশেষ ধরনের জিন থাকে। যা টেট্রাক্রোমেট চোখের জন্য দায়ী।

তবে বিজ্ঞান বলছে, এই জিন এক্স ক্রোমোজোমকে প্রভাবিত করে। জিনের মিউটেশনের কারণেই টেট্রাক্রোমেট  চোখ হয়। বিশেষ জেনেটিক্স নিয়ে জন্মানোই এর প্রধান কারণ। তাই টেট্রাক্রোমেট চোখ শুধুমাত্র নারীদেরই হয়। পুরুষদের মধ্যে এই চোখের সন্ধান এখনও মেলেনি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.