মাখন খাওয়া ভালো, তবে সতর্কতাও জরুরি



 ODD বাংলা ডেস্ক: যেসব খাবার খাওয়া খারাপ না কিন্তু পরিমিত খাওয়া উচিত, এমন খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মাখন। কারণ এর উপকারিতার পাশাপাশি অন্য দিকটি নিয়ে ভয়ও আছে। তবে শরীরে কম-বেশি সব উপাদানেরই প্রয়োজন থাকে। তাই মাখনেরও চাহিদা রয়েছে।


ওজন বেশি হোক বা যথাযথ, মাখনের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি।


মাখন দুগ্ধজাত খাবার। এতে থাকে ৮০ শতাংশ ফ্যাট, ১৬-১৮ শতাংশ জল এবং ২ শতাংশ লবণ।


মাখন থেকে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে এবং উৎকৃষ্ট মানের ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, আয়োডিন পাওয়া যায়। ভিটামিন ও খনিজের জন্যই এর পুষ্টিগুণ বাড়ে।


মাখনের স্যাচুরেটেড ফ্যাট নিয়ে ভয় থাকে। তবে এর উপকারিতা বিবিধ। কোষের মেমব্রেন মজবুত করতে, লিভারের কার্যকারিতা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে, হাড়ের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এর গুরুত্ব রয়েছে।


এইচডিএল (গুড) ও এলডিএল (ব্যাড) দু’ধরনের কোলেস্টেরলের পরিমাণই শরীরে বাড়িয়ে দেয় মাখন। তাই হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল, ওবেসিটিতে ভুগছেন, এমন ব্যক্তিরা মাখন খাবেন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো।


বাজারে এখন অনেক ধরনের মাখন পাওয়া যায়।


• পিনাট বাটার: রোস্টেড পিনাট থেকে এই মাখন তৈরি হয়। হাই-প্রসেসড ফুড বলে এতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ সাধারণ মাখনের চেয়ে অনেক কম। ভিটামিন ই, ডি, বি ও ম্যাঙ্গানিজের ভালো উৎস। এলডিএলের পরিমাণও কমাতে সাহায্য করে।


• শিয়া বাটার: আফ্রিকার এক ধরনের গাছ শিয়া। সেখান থেকেই তৈরি হয় শিয়া বাটার। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ থাকার জন্য বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচায় এটি।


• কোকো বাটার: কেক তৈরি করতে এর ব্যবহার বেশি। সাধারণত অন্য ভাবে খাওয়া হয় না।


• আনসল্টেড বাটার: এটি উচ্চমানের প্রসেসড নয় বলে খুব একটা বেশি ব্যবহার করা হয় না। তবে যে রোগের ক্ষেত্রে সোডিয়ামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে এই বাটার খাওয়া যেতে পারে।


• হোয়াইট বাটার: দুধ এবং ক্রিম থেকে তৈরি এটিও আনসল্টেড বাটার। মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.