স্বামী-স্ত্রী'র মধ্যে ঝগড়া হলেই মা-বাবার কাছে নালিশ করেন এই রাশির জাতক!

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  বিয়ের আগে সম্পর্কের মধ্যে যত ভালোবাসা, স্নেহ থাকে, তা ধীরে ধীরে উবে যেতে শুরু করে। তখন সেই তিনটি জাদুই শব্দ 'আমি তোমাকে ভালোবাসি'র (Love Horoscope) স্থান নিয়ে নেয়, ধন্যবাদ, ক্ষমা করে দাও এবং প্লিজ। সফল দাম্পত্য জীবনের জন্য ভালোবাসা, সহানুভূতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক দম্পতিই তা ভুলে যাচ্ছেন। সামান্য কথা কাটাকাটি ঝগড়া-বিবাদের রূপ নিয়ে নেয়। তার পর কথা বলা, মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে আবার সমস্যার সমাধানের জন্য নিজেদের মধ্যে আলোচনা না-করে মা-বাবার, এমনকি শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সামনে নালিশ করেন। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমনই কয়েকটি রাশি সম্পর্কে জানানো হয়েছে যাঁরা মা-বাবার কাছে স্বামী বা স্ত্রীর বিরুদ্ধে নালিশ করেন। কোন কোন রাশি এই তালিকায় রয়েছে জেনে নেওয়া যাক।


মেষ রাশি 


জ্যোতিষ গণনা অনুযায়ী এই রাশির জাতকরা দাম্পত্য বিবাদের সমাধানের জন্য পরিবার ও অভিভাবকদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। দেখাশোনা করে বিয়ে হলে মেষ রাশির জাতকদের এই প্রবণতাটি সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। কারণ তাঁরা মনে করেন যে, পরিবারের পছন্দের পাত্র বা পাত্রীকে বিয়ে করেছেন বলে, সঙ্গীর সমস্ত ভুল-ত্রুটির বিষয় অভিভাবককে নালিশ করে দেওয়াই শ্রেয়। যাতে তাঁরাই সমস্যার সমাধান করে দেন। এটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার গঠনমূলক পন্থা হতে পারে না। মেষ জাতকরা ধৈর্য ধরে আলোচনা করার পরিবর্তে সঙ্গীকে বিরক্ত করতে শুরু করেন।


সিংহ রাশি 


সিংহ রাশির জাতকরা নিজের আকাশ ছোঁয়া ইগো এবং গর্ববোধকে প্রচণ্ড পরিমাণে উপভোগ করেন। নিজের এই স্বভাবের কারণেই এঁরা কারও সামনে মাথানত করতে চান না। নিজের ভুল স্বীকার করার পরিবর্তে স্বামী বা স্ত্রীর ওপর দোষারোপ করতে থাকেন সিংহ জাতক বা জাতিকারা। ঝগড়া হলেই নিজে তা সমাধান করেন না, পরিবর্তে অভিভাবক ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সে বিষয় জানিয়ে দেন। কিছু কিছু সিংহ জাতক আবার পরবর্তী জীবনে কাপল কাউন্সিলিং করান। অভিভাবকদের অনুপস্থিতিতে বিবাহ বন্ধন সুদৃঢ় রাখার জন্য তাঁরা এই পদক্ষেপ করে থাকেন।


মীন রাশি 


নিজের সংবেদনশীলতার জন্য গর্ববোধ করেন মীন রাশির জাতকরা। কিন্তু এঁদের একটি ব্যাতিক্রমী ধরনের অস্থির মানসিকতাও রয়েছে। এ কারণে নিজের বিবাহিত জীবনে কোনও ভুল করে থাকলে তা কখনও স্বীকার করতে পারেন না এঁরা। পরিবর্তে সমস্যার বিষয় অভিভাবকদের জানিয়ে সঙ্গীর ওপর চড়াও হন। দীর্ঘদিন ধরে এমন চলতে থাকলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে  শত্রুভাবাপন্ন মানসিকতা গড়ে উঠতে পারে। কারণ কোনও সমস্যা সমাধান করার সঠিক পথই তাঁদের জানা নেই। এর ফলে তাঁরা কখনওই এক সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বের করতে পারেন না। তাই অভিভাবক ও শ্বশুরবাড়ির সদস্য়দের দ্বারস্থ হন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.