'অভিশপ্ত' কোহিনূর পরলে বিপদ পুরুষদের! চার্লসের পরিবর্তে কার মুকুটে যাবে এই রত্ন?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: গত বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে মৃত্যু হয় ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। টানা ৭০ বছর ইংল্যান্ডের রাজমুকুট ছিল তাঁর মাথায়। আর তাতেই গাঁথা কোহিনূর। দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর এবার তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের কাছে যেতে চলেছে এই হিরে। দ্বিতীয় এলিজাবেথের পর ইংল্যান্ডের রাজার দায়িত্ব পেয়েছেন চার্লস। ৭২ বছর বয়সে প্রিন্স চার্লস থেকে রাজা তৃতীয় চার্লস হলেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন হল কোহিনূর বসানো মুকুট কি তাঁর মাথায় শোভা পাবে? সূত্রের খবর কিন্তু তা বলছে না।


কারণ ভারতের গোলকোণ্ডা থেকে পাওয়া যাওয়া ১০৫.৬ ক্যারাটের এই হিরের সঙ্গে অভিশাপ জড়িয়ে আছে বলে মনে করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে কোহিনূর হয় দেবতা, নয়তো নারী পরতে পারেন। পুরুষের কখনোই এই রত্ন সহ্য হয় না বলে প্রচলিত বিশ্বাস। ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, যতবারই কোনও পুরুষ কোহিনূর ধারণ করেছেন, ততবারই দুর্ভাগ্য নেমে এসেছে তাঁর জীবনে। ইংল্যান্ডের রাজবংশেও রাজা নন, রানিই এই হিরের অধিকারী হন। তাই দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর চার্লসের দ্বিতীয় স্ত্রী ক্যামেলিয়া পার্কার এই হিরেটির অধিকারী হয়েছেন।


পারসিয়ান ভাষায় কোহিনূরের অর্থ আলোর পর্বত। এটি এতই দুর্মূল্য যে এর কোনও দাম নির্ধারণ করা যায়নি। বলা হয়ে থাকে, 'যে পুরুষ কোহিনূর ধারণ করবেন, তিনি গোটা বিশ্বকে জয় করবেন, কিন্তু তার সঙ্গে দুর্ভাগ্যের খাঁড়াও তাঁর উপর নেমে আসবে।'


প্ল্যাটিনামের মুকুটে বর্তমানে খোদিত আছে কোহিনূর। বিশ্বের সবচেয়ে দুর্মূল্য হিরেগুলির অন্যতম কোহিনূর ১৪ শতকে ভারতের গোলকোণ্ডায় পাওয়া গিয়েছিল। ওয়ারাঙ্গলের একটি মন্দিরের দেবতার চোখে এটি খোদিত ছিল। পরে আলাউদ্দিন খিলজি এটি দখল করেন। এর পর নানা হাত ঘুরে ইব্রাহিম লোদির কাছ থেকে মুঘল বাদশা বাবরের কাছে এটি পৌঁছয়। পরে ময়ূর সিংহাসনে এটি খোদিত করেন শাহজাহান।


এর পরে অনেক হাত ঘুরে মহারাজা রণজিত্‍ সিং-এর কাছ এটি তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত ছিল। নিজের উইলে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে কোহিনূর দান করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলে রণজিত্‍ সিং। কিন্তু তাঁর ছেলে দলীপ সিং ইস্ট ইন্ডিয়ার কোম্পানির চাপের মুখে রানি ভিক্টোরিয়াকে এটি দিতে বাধ্য হন। ভারতীয়দের মতে ইংরেজরা কোহিনূর চুরি করে নিয়ে গেছে। যদিও ইংরেজদের দাবি যে এটা তারা উপহার পেয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.