তীব্র ক্ষুধার জ্বালায় জ্বলছে বিশ্ব, প্রতি চার সেকেন্ডের মৃত্যু ১ জনের- সতর্ক করল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি
ODD বাংলা ডেস্ক: প্রতি চার সেকেন্ডে এক জন ব্যক্তির মৃত্যু হচ্ছে ক্ষুধায়। মঙ্গলবার বিশ্বের ২০০টিরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি বিশ্বে খাদ্য সংকট দূর করার জন্য নিস্পত্তিমূলক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতি চার সেকেন্ডে এক জন ব্যক্তির মৃত্যু হচ্ছে ক্ষুধায়। মঙ্গলবার বিশ্বের ২০০টিরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি বিশ্বে খাদ্য সংকট দূর করার জন্য নিস্পত্তিমূলক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের জন্য নিউইয়র্কে জড়ো হওয়া বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠিতে অক্সফাম, সেভ দ্যা চিলড্রেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশালান-সহ ৭৫টি দেশের ২৩৮টি সংস্থা বিশ্বজুডে খাদ্য সংকট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বলা হয়েছে ক্ষুদার্থের মাত্রা আকাশ ছুঁয়েছে। কিন্তু ক্ষুধার্থদের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সংস্থাগুলি একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, একটি একটি বিস্ময়, যে বর্তমানে বিশ্বের ৩৪৫ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধায় জ্বালায় জ্বলছে। ২০১৯ সালের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একবিংশ শতকে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হতে দেব না- বিশ্বনেতারা এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও সোমালিয়া দাঁড়িয়ে রয়েছে দুর্ভিক্ষের সামনে। বিশ্বজুড়ে ৪৫টি দেশে ৫০ মিলিয়ন মানুষ আনাহারের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে প্রতিদিন ১৯৭০০ জন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে ক্ষুধায়। সংগঠনগুলির দাবি প্রতি চার সেকেন্ডে মৃত্যুর হচ্ছে একজনের। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ইয়েমেন ফ্যামিলি কেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মোহন্না আহমেদ আলি এলজাবালি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, 'এটি অত্যান্ত খারাপ যে কৃষি ও ফসল কাটার প্রযুক্তি যখন আমাদের হাতে রয়েছে তখন আমরা দুর্ভিক্ষের কথা বলছি। ' তিনি আরও বলেছেন ২১ শতকেও দুর্ভিক্ষের মত ঘটনার মুখোমুখি হওয়া ঠিক নয়। তিনি আরও বলেছেন, বিশ্ববাসী তাৎক্ষণিক জীবনরক্ষার জন্য খাদ্য আর দীর্ঘমেয়াদী সাহায্য প্রদানের ওপর ফোকাস করার জন্য একটি মুহুর্ত আর অপেক্ষা করা ঠিক নয়। লোকেরা ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিতে পারে। আর নিজের ও অনাহারে থাকা পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে পারে।
Post a Comment