হাওড়া শহরে ডেঙ্গি বড় বালাই, স্বাস্থ্য ও সাফাই বিভাগের সমস্ত কর্মীদের দুর্গাপুজোর ছুটি বাতিল

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বাতিল করে দেওয়া হয়েছে হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য ও সাফাই বিভাগের সমস্ত কর্মীদের ছুটি। পুজোর সময় সমস্ত নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে গিয়ে শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজ নেবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।


হাওড়ার শহর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আপাতত কম হয়েছে বলে দাবি হাওড়া পুরসভার। কয়েক সপ্তাহ আগে হাওড়া পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় একশোর বেশি, সেখানে গত এক সপ্তাহে সংখ্যাটা অনেকটা কম হয়ে ৩৬ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য ও সাফাই বিভাগের বিশেষ তৎপরতায় শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আয়ত্বের মধ্যে আনা গেছে বলে দাবি করলেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী।


রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওড়া পুরসভা এলাকায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৭। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরসভা সবরকমভাবে তৎপর থাকবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন মুখ্য প্রশাসক। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে হাওড়া পুরসভা, রাজ্য ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সমন্বয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়। আসন্ন শারদীয়া উৎসবের প্রাক্কালে যাতে শহর জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ মাথা চাড়া না দেয়, সেজন্য সব দিক থেকে তৎপর থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।


পৌরসভার পক্ষ থেকে দুর্গাপুজোর সময় যেকোনওরকম ঝুঁকি এড়াতে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য ও সাফাই বিভাগের সমস্ত কর্মীদের ছুটি। পুজোর সময়ও সমস্ত নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে গিয়ে শরীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। পুজোর কয়েক দিন সাধারণ মানুষের মধ্যে ডেঙ্গি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে আরও ২০টি করে অর্থাৎ মোট ৫০টি করে ফ্লেক্স লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যয় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা রেখে এলাকায় বিশেষভাবে নজরদারি চালানোর জন্য আগামী ২ মাস হাওড়ায় এক জন স্বাস্থ্য আধিকারিককে নিয়োগ করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি মোকাবিলায় এলাকায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেবিষয়ের যাবতীয় রিপোর্ট সরকারকে দেবেন ওই আধিকারিক।


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচেতন বার্তার পর বিশেষভাবে তৎপর হয়েছে হাওড়া প্রশাসন। আপাতত হাওড়া পুরসভার ১৫টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মোট ২২টি ফিভার ক্যাম্প চলছে। রেল ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে, তাদের পরিত্যক্ত জায়গায় সাফাই অভিযান ও ডেঙ্গির মশা মারার তেল ছড়ানোর মতো কাজ করছে হাওড়া পুরসভা। এদিকে মশা মারার তেলে যাতে কোনওরকম জল মেশানো না থাকে, বা লার্ভিসাইড ওয়েলের পরিমাণ যাতে বেশি থাকে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে পুরসভার তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.