খাবারে বার বার চুল থাকছে? কারণ হতে পারে পিতৃদোষ! জানেন?



 ODD বাংলা ডেস্ক: অনেক সময় খাবার খাওয়ার সময় তা থেকে চুল বেরোয়। এমন কিছু হলে আমরা খুব একটা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু জ্যোতিষে খাবারে চুল বের হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বেশি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। উল্লেখ্য, এটি এমন ঘটনা যা নির্দিষ্ট একটি দোষ ও ভবিষ্যতের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে।


বারংবার কারও খাবার থেকে চুল বেরোনোকে জ্যোতিষে অশুভ ইঙ্গিত মনে করা হয়। একে পিতৃদোষের সঙ্গে যুক্ত করে দেখা হয়। আবার পিতৃপক্ষের সময় কারও খাবার থেকে চুল বেরোলে বুঝতে হবে যে, আপনার পূর্বপুরুষরা আপনার প্রতি ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট। এর প্রভাবে জাতকের জীবনে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই খাবারে বার বার চুল পেলে, পিতৃদোষ নিবারণের উপায় করা উচিত।


পিতৃদোষের লক্ষণ


১. পিতৃদোষের প্রভাবে জাতকের জীবনে সন্তান সুখ থাকে না।


২. সন্তান সুখ লাভ করলেও, সন্তানে নানান শারীরিক ও চারিত্রিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি জন্মের কিছু দিনের মধ্যেই সন্তানের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।


৩. পিতৃদোষের প্রভাবে পরিশ্রম সত্ত্বেও চাকরি ও ব্যবসায় লোকসান হয়।


৪. পিতৃদোষের কারণে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকে। আবার সদস্যদের মধ্যে ঐক্যও থাকে না।


৫. পরিবারের কোনও না-কোনও জাতক সবসময় অসুস্থ থাকে। চিকিৎসা সত্ত্বেও তাঁদের স্বাস্থ্যোন্নতি ঘটে না।


৬. বিবাহযোগ্যদের বিয়ে না-হওয়া অথবা বিবাহবিচ্ছেদের জন্যও পিতৃদোষ দায়ী।


৭. পিতৃদোষের কারণে জাতক আপনজনদের দ্বারাই প্রতারিত হয়ে থাকে।


৮. পিতৃদোষ থাকলে জাতক বারংবার দুর্ঘটনার শিকার হয়। কোনও শুভ কাজে বাধা সৃষ্টি হওয়াও পিতৃদোষেরই লক্ষণ।


৯. শুধু তাই নয়, পিতৃদোষের কারণে পরিবারের কোনও সদস্যের ওপর প্রেত বাধা থাকে।


পিতৃদোষের কারণ


১. নিয়ম অনুযায়ী পূর্বপুরুষদের অন্ত্যেষ্টি বা শ্রাদ্ধ না-করলে পিতৃদোষ হয়ে থাকে।


২. পূর্ব পুরুষদের ভুলে গেলে বা তাঁদের অপমান করলেও পিতৃদোষের মুখে পড়তে পারেন।


৩. ধর্ম বিরুদ্ধ আচরণ পিতৃদোষের অন্যতম বৃহৎ কারণ।


৪. কোনও জাতক অশ্বত্থ, নীম বা বট গাছ কাটালে, তার ওপর পিতৃদোষ থাকে।


৫. সাপের হত্যা করা বা কারও দ্বারা সাপের হত্যা করানোও পিতৃদোষ সৃষ্টি করতে পারে।


পিতৃদোষ দূর করার উপায়


১. কোষ্ঠিতে পিতৃদোষ থাকলে দক্ষিণ দেওয়ালে পূর্বপুরুষদের ছবি টাঙিয়ে, প্রতিদিন তাতে মালা অর্পণ ও স্মরণ করা উচিত।


২. যে তিথিতে পূর্বপুরুষদের মৃত্যু হয়েছিল, সেই তিথিতে ব্রাহ্মণদের ভোজন করান ও দান দিন।


৩. পিতৃদোষ থেকে মুক্তির জন্য অশ্বত্থ গাছে দুপুরের সময় জল অর্পণ করা উচিত। এর পাশাপাশি ফুল, অক্ষত, দুধ ও গঙ্গাজল অর্পণ করে পরিজনদের স্মরণ করুন।


৪. পিতৃদোষ দূর করার জন্য প্রতি সন্ধ্যাবেলা দক্ষিণ দিকে একটি প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করুন। প্রতিদিন সম্ভব না-হলে পিতৃপক্ষের দিনে অবশ্যই প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করবেন।


৫. শিবের মূর্তি বা শিবলিঙ্গের সামনে বসে ওম তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় চ ধীমহি তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ মন্ত্রের জপ করলেও পিতৃদোষ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.