যৌনমিলন ছাড়াও এই কাজ করলেই কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে, জানাল গবেষণা



 ODD বাংলা ডেস্ক: যৌন উত্তেজনা বাড়াতে এবার আর সেক্স নয়, বরং সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোলেই হবে কেল্লাফতে। সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় রাখতে এটি নিয়মিত করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রাতের বেলা হোক কিংবা দিনের বেলা সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোলে ঘুম যেমন ভাল হয় তেমনই আবার মুক্তি পাওয়া যায় নানা কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকে।


সুস্থতার চাবিকাঠি ভালবাসার সম্পর্ক। আর সম্পর্কের  গাঢ় বন্ধন মানেই যৌন মিলন। অত্যাধিক কাজের চাপ, মানসিক টেনশনে থেকে স্ট্রেসের কারণে সম্পর্কে ছেদ ঘটছে অনেকেরেই। আর দীর্ঘদিন বাদে একে অপরের সঙ্গে যৌন মিলনে  আবদ্ধ হলেই সেই সম্পর্কে যেন একটা দুরত্ব চলে আসে


বর্তমান যুগে বিবাহবিচ্ছেদ যেন কোনও বড় ব্যাপারই নয়। ডিজিটাল যুগে সম্পর্কও যেন খুব সহজেই উষ্ণতা হারাচ্ছে।  এমন অনেকেই আছেন সম্পর্কের যৌনতা বজায় রাখতে পারছেন না। যৌন উত্তেজনা বাড়াতে এবার আর সেক্স নয়, বরং সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোলেই হবে কেল্লাফতে। সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় রাখতে এটি নিয়মিত করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 


 বর্তমানে বেশিরভাগ দম্পতিরাই কোনও না কোনও চাকরি বা কাজ করেন। আর যারা বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত তাদের কাজের সময়ও এক হয় না। স্বাভাবিকভাবেই অপেক্ষা করার সময় ক্রমশই কমছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি  হল একসঙ্গে ঘুমোতে যাওয়া। সারাদিন হাজারো কাজের পর  ঘুমানোটা যেন একসঙ্গে হয়।



যৌন উত্তেজনা বাড়াতে এবার আর সেক্স নয়, বরং সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোলেই হবে কেল্লাফতে। সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় রাখতে এটি নিয়মিত করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রাতের বেলা হোক কিংবা দিনের বেলা সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোলে ঘুম যেমন ভাল হয় তেমনই আবার মুক্তি পাওয়া যায় নানা রকমের রোগ-ভোগ থেকে।


সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সারারাত ঘুমোলে সম্পর্কের বন্ধন নাকি অনেকবেশি দৃঢ় হয়।  আর তাতেই নাকি অবলীলায় কাটিয়ে দেওয়া যেতে পারে বছরের পর বছর। জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর বিষয়টি অনেকেই এড়িয়ে যান। তবে এটা করতে বারণ করছেম বিশেষজ্ঞরা।

 

গবেষণায় দেখা গেছে, রাতের বেলা একা ঘুমোলে মাথায় নানারকমের চিন্তা আসে। আর ঘুম না আসলেই মোবাইল নিয়ে সময় কাটানো তো আছেই, যার ফলে ঘুমটা আরও দেরিতে আসে, এবং ঘুমও ভাল হয়না। তবে আপনার পাশে সঙ্গী থাকলেই তার সঙ্গে কথা বললেও সারাদিনের মানসিক ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে নিমেষে।

 

গবেষকরা জানিয়েছেন, রাতের বেলা সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোলে ৫ ধরনের হরমোন শরীর থেকে বের হয়। যেমন অক্সিটোসিন হরমোন যা আপনাকে সর্বদাই খুশি রাখে। সেরোটোনিন হরমোন সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নরপাইনফ্রাইন হরমোন যা ঘুম নিয়ন্ত্রণ রাখে ও মানসিক চাপ কমায়। ভ্যাসোপ্রেসিন হরমোন যা ঘুম বাড়াতে সাহায্য কর ও কর্টিসল কমায়। ও প্রোল্যাক্টিন হরমোন যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে ও ঘুম গাঢ় করতে সাহায্য করে।



বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন সঙ্গীকে পাশে নিয়ে ঘুমোলে কার্ডিওভাসকুলার রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে। এবং অক্সিটোসিন  হরমোন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে ঘুমও যেমন ভাল হয় তেমনি মন ও মেজাজ ভাল থাকে। যার ফলে রোগের ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়।


সুস্থ দাম্পত্যের সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলে আজ থেকেই সাবধান হোন। হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝেও দিনের কিছুটা সময় নিজেদের জন্য বের করে নিন। অফিসের কাজ বাড়িতে বসে করার ফাঁকেও একে অপরের সঙ্গে কথা বলুন। কাজ হয়ে গেলে দুজনে একসঙ্গে একটু বিশ্রাম নিন। 



ঘরের লাইট বন্ধ করে যে কোনও হালকা সুগন্ধী স্প্রে করে দুজনে একটু সময় কাটান। এতেও সম্পর্ক ভাল থাকে। নিজেদের একান্ত সময়ে স্মার্টফোন বন্ধকরে রাখুন। আর যদি পারেন তাহলে শোবার ঘরে মোবাইল নিয়ে ঢোকাও আজ থেকে বন্ধ করে দিন।স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ঝামেলা হবে না তা প্রায় অসম্ভব।  ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঝগড়া হলে তা মিটিয়ে নিন রাতেই।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.